-68060932261cd.jpg)
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস ইস্টার সোমবারে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভ্যাটিকান ক্যামেরলেনগো কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে রোমের বিশপ ফ্রান্সিস স্বর্গীয় পিতার সান্নিধ্যে ফিরে গেছেন। তার পুরো জীবন ছিল প্রভু ও চার্চের সেবায় উৎসর্গিত’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন কীভাবে গসপেলের মূল্যবোধকে বিশ্বাস, সাহস এবং সার্বজনীন ভালোবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিকদের প্রতি। যীশু খ্রিষ্টের একজন প্রকৃত শিষ্য হিসেবে তাঁর জীবন আমাদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমরা পোপ ফ্রান্সিসের আত্মাকে সর্বশক্তিমান, ত্রয়ী ও করুণাময় ঈশ্বরের হাতে সঁপে দিচ্ছি।’
গত কয়েক মাস ধরেই পোপ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন এবং সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছিলেন।
পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শ পদত্যাগ করার পর ২০১৩ সালের মার্চ মাসে কার্ডিনাল জর্জ মারিও বেরগোগলি ক্যাথলিক চার্চের নেতৃত্ব পান। ফ্রান্সিস আমেরিকা বা দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ছিলেন। সিরীয় বংশোদ্ভূত গ্রেগরি তৃতীয় ৭৪১ সালে মারা যাওয়ার পর থেকে রোমে কোনো অ–ইউরোপীয় বিশপ ছিলেন না।
ফ্রান্সিস সেন্ট পিটারের সিংহাসনে নির্বাচিত প্রথম জেসুইটও ছিলেন। যেখানে জেসুইটদের ঐতিহাসিকভাবে রোম সন্দেহের চোখে দেখত। ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি, বেনেডিক্ট ষোড়শ, প্রায় ৬০০ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া প্রথম পোপ। প্রায় এক দশক ধরে ভ্যাটিকান গার্ডেনে শুধু এই দুজন পোপের আবাসস্থল ছিল।
আর্জেন্টিনার কার্ডিনাল বেরগোগলি হিসেবে, ২০১৩ সালে পোপ হওয়ার সময়ই তাঁর বয়স সত্তরের বেশি ছিল।
তার মৃত্যু ঘটেছে এমন এক সময়, যখন মাত্র একদিন আগেই তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে ইস্টার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন প্রত্যাবাসন নীতিকে ঘিরে পোপ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।