টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন
সুর নরম হয়ে আসছে ভারতের, ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না দিল্লি

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না।
দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি করা হতো। তবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না দাবি ভারত সরকারের। যদিও দুই দেশের দ্যোদুল্যমান সম্পর্কের মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত ভালো চোখে নেয়নি বাংলাদেশ।
এর আগে ভারতের সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার। তবে এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে তারা। কারণ ইতোমধ্যে স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা। ফলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে দিল্লি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা কেবলই গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনে মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে।’