যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঔপনিবেশিক’ দাবিতে উত্তপ্ত ইউক্রেন: গ্যাস পাইপলাইন ও খনিজ নিয়ন্ত্রণ চায় ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে, যা রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদক্ষেপটিকে অনেকেই "ঔপনিবেশিক চাপ" হিসেবে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার, ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত খনিজ সম্পদ চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। সাবেক বাইডেন প্রশাসনের পাঠানো অস্ত্রের বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ চাচ্ছে "বদলে"।
রয়টার্স জানিয়েছে, আলোচনাগুলো ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সর্বশেষ খসড়া অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউক্রেনের ওই গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ নিক। পাইপলাইনটি রাশিয়ার সুজা শহর থেকে ইউক্রেনের উজগোরোদ পর্যন্ত বিস্তৃত, যা সোভিয়েত আমলে নির্মিত ও ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট।
গত ১ জানুয়ারি, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর আগে উভয় দেশ ট্রানজিট ফি থেকে শত শত মিলিয়ন ইউরো আয় করত।
কিয়েভের থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘সেন্টার ফর ইকোনমিক স্ট্র্যাটেজি’র জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ভলোদিমির লান্দা বলেন, আমেরিকানরা “সব কিছুর দখল নিতে চায়” এবং তাদের দাবি “ঔপনিবেশিক মানসিকতা” প্রকাশ করে।
এদিকে, ট্রাম্প নিরাপত্তা বা সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি না দিয়েই ইউক্রেনের খনিজ চাচ্ছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কোনো চুক্তি “সমতা” ভিত্তিক না হলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, “আমি শুধু ইউক্রেনের অধিকার রক্ষা করছি”।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন এবং রাশিয়াকে দাবি করা চারটি প্রদেশ দিতে একটি প্রস্তাব দেন।