ভারতের ওয়াকফ আইন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার সমর্থন করে না এবং এই আইন পশ্চিমবঙ্গে বলবৎ করা হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ শনিবার দুপুরে সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বলেন, ‘সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে। বাংলায় তা বলবৎও হবে না। তা হলে হিংসা কেন? যারা এই হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
রাজনৈতিক দলের চক্রান্তের কথাও উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমি মনে করি, ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি। তিনি শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
এর কয়েক দিন আগে নেতাজি ইন্ডোরে মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত জৈন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতা বলেছিলেন, বাংলায় কেউ ওয়াকফ সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারবে না। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে বলেন, মনে রাখবেন, দিদি থাকতে আপনাদের সম্পত্তি যাবে না।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটিতেও তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার সংঘাতে জড়িয়েছিলেন। বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরে অমুসলিম প্রথম নারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিল করার দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ আগামী সপ্তাহেই এই মামলাগুলো শুনবে।
অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ওই রাজ্যের হাজার হাজার বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তি চিহ্নিত করে তা বাজেয়াপ্ত করার জন্য উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ভারতে সব চেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশেই।