গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা, মেট পুলিশে প্রতিবেদন জমা

ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধরত অবস্থায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের অভিযোগে ১০ ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা মানবাধিকার আইনজীবী মাইকেল ম্যানসফিল্ড কেসি এই অভিযোগপত্র সোমবার (৭ এপ্রিল) মেট্রোপলিটন পুলিশের যুদ্ধাপরাধ ইউনিটে জমা দেন।
২৪০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তরা স্নাইপার হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণকর্মীদের হত্যা, হাসপাতালসহ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে হামলা, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংস এবং সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার মতো অপরাধে জড়িত।
প্রতিবেদনটি গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা (PCHR) এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাবলিক ইন্টারেস্ট ল' সেন্টার (PILC)-এর পক্ষ থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতিবেদনে থাকা সব অপরাধ আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একটি হাসপাতালের আঙিনায় বহু মরদেহ ছড়িয়ে ছিল এবং একটি বুলডোজার একটি মৃতদেহের ওপর দিয়ে চালিয়ে যায়। একই বুলডোজার হাসপাতালে ভাঙচুরও চালায়।
আইনজীবী শন সামারফিল্ড জানান, এই অভিযোগপত্রে উন্মুক্ত উৎসের তথ্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য মিলিয়ে একটি “বিশ্বাসযোগ্য” মামলার ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “জনসাধারণ হতবাক হবে যখন শুনবে যে কিছু ব্রিটিশ নাগরিক সরাসরি এসব ভয়াবহ অপরাধে জড়িত।”
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুক্তরাজ্যের দায়িত্ব হলো এই ধরনের অপরাধ তদন্ত করা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা।
ম্যানসফিল্ড বলেন, “আমাদের নাগরিক যদি অপরাধ করে, তবে সেটির প্রতিকার করা আমাদের দায়িত্ব। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।”