মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছে। এতে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিতে কাজ করা অন্তত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে। 

আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়েছে, সরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ব্যাংককের উত্তরে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি পুরোপুরি ধসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভবনটি ধসে পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভূমিকম্পে ব্যাংককে আরও বেশ কিছু ভবনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ দুপুরের দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। 

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, মিয়ানমারের সাগাইং শহর থেকে উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৭। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী সাই ভূমিকম্পের সময় একটি দোকানে কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, আমি দ্রুত অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে দোকান থেকে বের হয়ে গেছি। এটা আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

এদিকে, ভূমিকম্পের পর থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে লিখেছেন, তিনি ভূমিকম্পের পর ‘জরুরি বৈঠক’ করতে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ফুকেটে তার নির্ধারিত সরকারি সফর স্থগিত করেছেন।