ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র সদস্যদের মারাত্মক নিরাপত্তা লঙ্ঘন, গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস

একজন ব্যক্তি ধ্বংসস্তূপের ওপর বসে আছেন, যেখানে ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি ভবনের অবশিষ্টাংশ ছড়িয়ে আছে। স্থান: সানা, ইয়েমেন। ছবি: মোহাম্মদ হামুদ / গেটি ইমেজেস
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার গোপন সামরিক পরিকল্পনা বেসরকারি মেসেজিং অ্যাপ Signal-এ আলোচনা করতে গিয়ে মারাত্মক নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন।
এই আলোচনায় উপ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও, এবং গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড উপস্থিত ছিলেন। চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, এই গোপন গ্রুপে একজন সাংবাদিককেও যুক্ত রাখা হয়েছিল।
Signal অ্যাপটি মার্কিন সরকারের অনুমোদিত নয় সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করার জন্য।
এটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে অ্যাটলান্টিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গের প্রতিবেদনে। তিনি ভুলবশত এই গোপন গ্রুপে যুক্ত হন এবং দেখেন ট্রাম্প প্রশাসনের ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেখানে আছেন। তিনি জানান, তিনি তার ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সিআইএ-এর এক সিনিয়র কর্মকর্তার পরিচয় এবং বর্তমান অপারেশনাল তথ্য মুছে ফেলেছেন।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, "এটি সত্যিকারের মেসেজ চেইন বলে মনে হচ্ছে, এবং আমরা খতিয়ে দেখছি কীভাবে এটি ঘটেছে।" তবে তিনি দাবি করেন, এই ঘটনাটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে বলেছেন, "আমি এর কিছুই জানি না। আমি অ্যাটলান্টিক পত্রিকার ভক্ত নই।"
এই ফাঁস হওয়া বার্তাগুলোর মধ্যে ইউরোপ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যও রয়েছে। জেডি ভ্যান্স বলেন, "আমি ইউরোপকে আবার সাহায্য করতে চাই না," এবং প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ উত্তর দেন, "ইউরোপের উপর নির্ভর করা হাস্যকর।"
গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে "অভূতপূর্ব" বলে আখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন সামরিক নীতিমালায় বেসরকারি অ্যাপে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা আলোচনা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।