জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসী হামলা: সেনাবাহিনীর সফল উদ্ধার অভিযান

পাকিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাই ও যাত্রীদের জিম্মি করার পর সেনাবাহিনীর এক সাহসী অভিযানে সকল যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে সামরিক বাহিনী ঘোষণা করে যে বলান রেঞ্জের মাশকাফ টানেলের কাছে আটকে থাকা ট্রেন থেকে সন্ত্রাসীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হয়েছে। অভিযানে ৩৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানের বিবরণ
আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, মোট ৪৪০ জন যাত্রীর মধ্যে ধাপে ধাপে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। প্রথম ধাপে এক শতাধিক যাত্রী এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ৮০ জনকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। এছাড়া, প্রায় এক ডজন যাত্রী ও দুই রেল পুলিশ সদস্য নিজেরা পালিয়ে কোয়েটায় পৌঁছান। অভিযানে ২১ জন যাত্রী নিহত হন এবং চারজন ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি) সেনা শহীদ হন।
সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী এসএসজি কমান্ডোরা কৌশলীভাবে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের পরাস্ত করে ৬৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করেন। জেনারেল শরীফ জানান, এই সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে থাকা তাদের সহযোগীদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছিল।
ড্রোন ফুটেজ ও অভিযান কৌশল
আইএসপিআর প্রকাশিত ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, ট্রেনের পাশে তিনটি পৃথক স্থানে জিম্মিরা বসে আছেন, যাদের আত্মঘাতী হামলাকারীরা পাহারা দিচ্ছিল। সেনাবাহিনীর স্নাইপাররা আত্মঘাতী হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে জিম্মিদের নিরাপদে মুক্ত করেন।
ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা
জেনারেল শরীফ ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার ও কিছু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলের মিথ্যা প্রচারের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্মীয় বা বেলুচিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এবং তাদের কর্মকাণ্ড পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারও ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারিত মিথ্যা তথ্যের তীব্র সমালোচনা করেন এবং পাকিস্তানের স্বার্থবিরোধী প্রচার চালানোর জন্য কিছু বিরোধী দলকে দায়ী করেন। সূত্র: ডন