টিউলিপকে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন ইলন মাস্ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাজ্য সরকারের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে খালা শেখ হাসিনার আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকারের ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি পদত্যাগ করলেও তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ হয়নি।
তার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তার মতে, শিশুকল্যাণের দায়িত্বে থাকা লেবারমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছেন। তাদের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী আজ নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। যদিও সিদ্দিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন সরকারকে ‘বিভ্রান্তি’ থেকে দূরে রাখতে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এছাড়া টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে গতকাল বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হয়েছে উত্তপ্ত আলোচনা। এ সময় টিউলিপের বিরুদ্ধে করা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিযোগের কথাও উল্লেখ করেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেত্রী কেমি বাডোনেচ। তিনি বলেন, ‘শেয়ার বাজারে যখন অস্থিরতা চলছে তখন প্রধানমন্ত্রী সাবেক সিটি মিনিস্টারের বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেন, তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু (টিউলিপ) পদত্যাগ করায় তিনি ব্যথিত। (তিনি এমন একজনের জন্য ব্যথিত) যিনি দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু নিজেই এখন দুর্নীতির জন্য তদন্তের অধীন’।
এদিকে সমালোচকরা টিউলিপ ও তার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশি অবকাঠামো প্রকল্পে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার, অবিলম্বে সিদ্দিকের জায়গায় এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ করেছেন।
উল্লেখ্য, লন্ডনে উপঢৌকন পাওয়া দুটি ফ্ল্যাটের তথ্য গোপন করেছিলেন টিউলিপ। এ বিষয়ে দুই বছর আগে মিথ্যাও বলেছিলেন তিনি। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ফ্ল্যাটগুলো তাকে তার বাবা-মা দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি আসল গোমর ফাঁস করে দিয়েছে লন্ডনের একাধিক পত্রিকা। তাদের খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপকে ফ্ল্যাট দুটি দিয়েছেন তার খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফ এবং অন্যজন মঈন গণি। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে পদত্যাগের চাপে পড়েন হাসিনার ভাগ্নি। অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার পর গত মঙ্গলবার মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ।