লেবানন থেকে চালানো ড্রোন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল, ৪ সেনা নিহত
ছবি সংগৃহীত
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর-মধ্য ইসরায়েলের বিনইয়ামিনে একটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আর এই ড্রোন শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। এতে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর চার সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৮ জন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গেছে।
এদিকে, ইরানের সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভির প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের ৪ সেনা নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ সেনা।
হিজবুল্লাহ এ হামলা দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোলানি ব্রিগেডকে লক্ষ্য করে একঝাঁক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ লেবাবনে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মধ্যে হিজবুল্লাহ তেল আবিবে ভয়াবহ এই হামলা চালাল।
রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের হিব্রু মিডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক ঘাঁটির একটি ডাইনিং হলকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়।
আইডিএফ জানিয়েছে, তৎক্ষণিকভাবে নিহত চার সেনার নাম জানা যায়নি। আহত সেনাদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া ১৪ জন সেনাও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি মধ্যরাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলার আগে কোনো ধরনের সতর্ক সংকেত বাজেনি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার পর পরিস্থিতির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। হামলার আগে কেন সংকেত বেজে ওঠেনি তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, সমুদ্র পথে হিজবুল্লাহ দুটি ড্রোন ইসরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। যার নাম মীরসাদ ড্রোন। ইরানে এর নাম দেওয়া হয়েছে আবাবিল-টি নামে। এটি হিজবুল্লাহর অন্যতম আত্মঘাতী ড্রোন। এর আগে এই ড্রোন দিয়ে এরকম হামলা চালানো হয়নি।
উত্তর ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা ইসরায়েলের গবেষণা কেন্দ্র আলমা সেন্টার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত ড্রোনটি ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি ঘণ্টায় ৩৭০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে এবং ৪০ কেজি ওজেনের বিস্ফোরণ বহনে সক্ষম। এছাড়া এটি ৯ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম।