সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং
আউটলুক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
হান কাং
দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তীব্র কাব্যিক গদ্য- যা মানুষকে ঐতিহাসিক মানসিক ক্ষতের মুখোমুখি দাঁড় করায় এবং মানবজীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে, তার জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় স্টকহোমে অবস্থিত সুইডিশ একাডেমি থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে পুরস্কার দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। নোবেলজয়ী হান কাং পাবেন ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি ১০ কোটি টাকা)।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, লেখালেখিতে হ্যান কাং ঐতিহাসিক মানসিক ক্ষত এবং নিয়মের অদৃশ্য অবস্থানের মুখোমুখি হন। তার প্রতিটি কাজে মানবজীবনের ভঙ্গুরতা ফুটে ওঠে। দেহ এবং আত্মা, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে তার এক অনন্য সচেতনতা আছে। তার কাব্যিক এবং পরীক্ষামূলক ধারা হয়ে উঠেছে সমসাময়িক গদ্যের উদ্ভাবক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হান কাংয়ের বয়স ৫৩ বছর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাময়িকী ‘লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি’তে একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটান। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় তার ছোট গল্পের সংকলন। তারপর থেকে তিনি দীর্ঘ গদ্য লেখা শুরু করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হান কাংয়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বই ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’। এটি সহ তার অনেক বই ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার জেতে তার উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’। এতে তিনি মানুষের নিষ্ঠুরতা নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে থাকা এক তরুণীর ‘বৃক্ষের মতো’ বেঁচে থাকার চেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৭০ সালে হান কাংয়ের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংঝু শহরে। তার ৯ বছর বয়সের সময় পরিবার সেখান থেকে চলে যায় সিউলে। তার পরিবার সাহিত্যের ব্যাকগ্রাউন্ডের। একজন বিখ্যাত উপন্যাসিক ছিলেন তার বাবা। হান কাং লেখালেখির পাশাপাশি নিজেকে আর্ট এবং মিউজিকে নিবেদিত করেছেন। তার পুরো সাহিত্যকর্মে এর প্রতিফলন ঘটেছে। তার লেখা ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ তিনটি অংশে লেখা হয়েছে।