লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। গত কয়েক দিনের ইসরায়েলি অভিযানে হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে লেবাননে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১০ লাখের বেশি।
লেবাননের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ হেজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডার নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের স্থল অভিযানের জন্য তারা প্রস্তুত। তিনি এই যুদ্ধ ‘দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে’ বলে জানিয়েছেন।
হেজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর কাসেমই প্রথম কোনো মন্তব্য করলেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ুভ গ্যালান্ট সীমান্তের কাছে পৌঁছানো সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, ইসরায়েল ‘আকাশ, সাগর ও ভূমি’ থেকে আক্রমণ চালানোর জন্য প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যাভিড ল্যামি উভয়ই যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে তারা বলেছেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার থাকা উচিত। পশ্চিমারা ইসরায়েলের এই অভিযানকে আত্মরক্ষার অভিযান মনে করে এবং জেবুল্লাহকে তারা বলে সন্ত্রাসী গ্রুপ। গাজার স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গ্রুপ হামাসকেও তারা সন্ত্রাসী বলে।
একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, লেবাননের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির আইন আল-হিলওয়েতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
দামেস্কে বিমান হামলা
ইসরায়েলি স্থল অভিযানের পাশাপাশি প্রতিবেশী সিরিয়ায়ও ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে, যাতে অন্তত তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় টিভি এক বিবৃতিতে তাদের ‘অ্যাংকর সাফা আহমদ রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত’ হবার খবর জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছে। তবে ইসরায়েল এখনও এই হামলার খবর নিশ্চিত করেনি।
এক সপ্তাহর বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার পর হেজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামোর কতটা এখনো অক্ষত আছে তা জানা যায়নি। তবে তাদের প্রধান সাত নেতার মৃত্যু হয়েছে, যে-কারণে হেজবুল্লাহকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা কঠিন হতে পারে। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা