ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ৪৯২ জন নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পর এটিই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা।
সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ৩৫ শিশু ও ৫৮ নারীসহ ৪৯২ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬৪৫ জন আহত হয়েছে।
হামলার আগে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে ইসরায়েল। সতর্কতা বার্তা পেয়ে হাজার হাজার লেবানিজ দক্ষিণাঞ্চল ছাড়তে শুরু করে।
একটি রেকর্ডেড বার্তায় বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে দেওয়া সতর্কবাতার কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই সতর্কতা গুরুত্ব সহকারে নিন। এখনই বিপজ্জনক স্থানগুলো থেকে সরে আসুন। আমাদের অভিযান শেষ হলে আপনারা নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, লেবাননের সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহকে হটিয়ে দিতে সেনাবাহিনী 'প্রয়োজনীয় সবকিছু' করবে।
সোমবারের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন হাগারি। তিনি বলেন, ইসরাইল প্রয়োজনে লেবাননে স্থল অভিযান চালাতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা ভীতি প্রদর্শনের সুযোগ যাতে কেউ না পায় সে ব্যবস্থা করছি। এই মিশন অর্জনে যা যা করা দরকার আমরা তা করব।’
হাগারি বলেন, গত অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে প্রায় ৯ হাজার রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে শুধু সোমবারই ২৫০টি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, সোমবার ইসরাইলি যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর ১ হাজার ৬০০ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার রকেট ও ড্রোন ধ্বংস হয়েছে।
বাড়িতে লুকিয়ে রাখা অস্ত্রের ছবি দেখিয়ে ওই মুখপাত্র বলেন, অনেককে আবাসিক এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলের ধারণা, হিজবুল্লাহর কাছে প্রায় দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে গাইডেড মিসাইল এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ইসরায়েলের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে।