এবার ব্রাসেলসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইইউর গভীর উদ্বেগ
স্টিফানো সেনিনোর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার (৩১ জুলাই) ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে আলোচনায় ইইউর বহিঃসম্পর্কবিষয়ক মহাসচিব স্টিফানো সেনিনো উদ্বেগ জানান। এ সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর বলপ্রয়োগের জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি সংকট নিরসনে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে আলোচনার পর স্টিফানো সেনিনো নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইট) এক পোস্টে এসব কথা উল্লেখ করেন। বেলজিয়াম সফররত হাছান মাহমুদের সঙ্গে ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টুইটে স্টিফানো সেনিনো লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে গভীর উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমি আন্দোলনে যুক্তদের সঙ্গে আচরণের জবাবদিহি নিশ্চিত ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছি। মানবাধিকার বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের একটি মৌলিক উপাদান।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের চলতি ঘটনাবলি এবং এ বিষয়ে ইইউর অবস্থান নিয়ে ইইউর বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দেওয়া ও আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি জানান, ২৭ জুলাই লাওসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ইইউর বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান আরও বলেন, ‘এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা, সহিংসতা, নির্যাতন, গণগ্রেপ্তার ও সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবশ্যই এসব কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকে গভীর নজর রাখা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলনীতিগুলো বিবেচনায় রেখে আশা করছি, বাংলাদেশে সব ধরনের মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো হবে।’