মালয়েশিয়ায় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশিসহ ১৭০০ অভিবাসী আটক
ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৭০০ অভিবাসী আটক করেছে। তবে আটককৃতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি এবং ঠিক কতজন বাংলাদেশি আছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার (২৩ জুন) দেশটির সেলাঙ্গরের জালান সুলতান আব্দুল সামাদ ৩৮, বন্দর সুলতান সুলেমান এলাকার একটি হাউজিং থেকে সমন্বিত অভিযানে প্রায় ১৭০০ অভিবাসীকে তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আটক করা হয়।
দেশটির শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দ্য সান জানিয়েছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামরুদ্দিন বলেন, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার এ নাগরিকদের আটক করতে অভিযান চালানো হয়।
অপারেশনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্থানীয় নাগরিকদের এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উক্ত এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতির বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে বেশকিছু অভিবাসীর এ দেশে থাকার বৈধ পারমিট বা পাস নেই। তাছাড়া তারা অতিরিক্ত সময় দেশে অবস্থান করছে এবং পারমিটের শর্ত ভঙ্গসহ নানা অপরাধ করেছে।
তিনি বলেন, সমন্বিত এ অভিযানে জাবাতান ইমিগ্রেশন মালয়েশিয়া (জিআইএম), সেন্ট্রাল ব্রিগেড জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন), রয়্যাল ক্ল্যাং সিটি কাউন্সিল (এমবিডিকে) এবং কেমেন্টেরিয়ান ডালাম নেগেরি (কেপিডিএন) এর মোট ২৮৯ জন অংশ নেয়।
এছাড়া তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যেসব বিদেশি নাগরিকদের বৈধতার জন্য ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এখনও চলমান রয়েছে তাদেরও আটক করা হয়েছে। আর অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ ধারার পাশাপাশি অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদের সংখ্যা পরে জানানো হবে।
দ্য সানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে অভিযানের সময় বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক ওই আবাসন এলাকায় ফুটবল খেলছিলেন। কেউ কেউ রাতের রান্নার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করছিলেন। আবার কেউ কেউ সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছিলেন। এসময় ইমিগ্রেশনের উপস্থিতি টের পেয়ে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ গাড়ির নিচে লুকিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এবং সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার এড়াতে তাদের বাচ্চাদের রুমে একা রেখে আসার অজুহাত দিলেও, শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।