Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

জাস্টিস ফর মিয়ানমারের তথ্য

চীনের গোয়েন্দা প্রযুক্তিতে ইন্টারনেটে মিয়ানমার জান্তার দমন-পীড়ন

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১০:০৯ পিএম

চীনের গোয়েন্দা প্রযুক্তিতে ইন্টারনেটে মিয়ানমার জান্তার দমন-পীড়ন

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার জান্তাকে গুপ্তচর প্রযুক্তি এবং তা চালানোর জন্য প্রযুক্তিবিদ দিয়েছে চীন। আর এসব পেয়ে গত মাসের দিক থেকে নাগরিকদের ওপর ইন্টারনেটে নজরদারি এবং সেন্সরশিপ তীব্র করেছে জান্তা সরকার। 

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এসব কথা বলেছে জাস্টিস ফর মিয়ানমার (জেএফএম)। মিয়ানমারের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য কাজ করা গোপন সংগঠন জেএফএম সতর্ক করে বলেছে, জান্তাকে চীনের এই বর্ধিত সহায়তায় আরও বেশি প্রাণহানি ঘটবে। মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিকদের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এই খবর দিয়েছে।

এই প্রযুক্তি সহায়তার ফলে জান্তা সরকার কারা কারা তাদের বিরুদ্ধচারণ করছে বা ভিন্ন মত পোষণ করছে তা শনাক্ত করতে পারবে এবং তাদের জেলে দিতে পারবে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা জান্তা ইতোমধ্যে ২৫ হাজার নাগরিককে কারাগারে নিয়েছে। 

জেএফএম বলেছে, আরও কার্যকর ডিজিটাল স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জান্তাকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীনের দুটি কোম্পানি। কোম্পানি দুটি ফ্যাং বিনক্সিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।  ফ্যাং বিনক্সিংকে গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়নার ‘পিতা’ বলা হয়। ফ্যাং বিনক্সিংকেই জান্তার ডিজিটাল নজরদারি এবং সেন্সরশিপের সহযোগী বলে আখ্যায়িত করেছে জেএফএম।

প্রতিবেদনে জেএফএম বলছে, চীনের প্রযুক্তি কীভাবে জান্তাকে ইন্টারনেটে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে চেপে ধরা জোরদার করেছে এবং তা জীবন কেড়ে নেবে। গত মাসের শেষের দিকে জান্তা সরকার নতুন একটি ইন্টারনেট নজরদারি এবং সেন্সরশিপ পদ্ধতি চালু করে। এটি ওয়েব ব্যবহারকারীর চলাচল শনাক্ত করতে, রোধ করতে এবং কোড ব্যবহার করে ব্যবহাকারী সম্পর্কে তথ্য (ডিক্রিপ্ট) পাঠাতে পারে। শুধু তাই নয়, ভিপিএনসহ এটি বিভিন্ন অ্যাপ পর্যবেক্ষণ ও ব্লক করতে পারে। কারণ অনেকে জান্তার নজরদারি এড়াতে ভিপিএন ব্যবহার করতো। 


Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন