Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গাধার পিঠে সওয়ার পাকিস্তানের অর্থনীতি!

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:২৬ এএম

গাধার পিঠে সওয়ার পাকিস্তানের অর্থনীতি!

অবস্থা এতটাই গুরুত্ব পূর্ণ যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও গাধার ছবি কোলাজ করে অনলাইনে ছড়ানো হয়েছে। তা আবার ভাইরালও হয়েছে।

আফ্রিকা থেকে চীন পর্যন্ত এই চতুষ্পদ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। সারাবিশ্বেই বেশ শোরগোল পড়েছে এ নিয়ে। ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক।

২০১৯ সালে পাকিস্তানে গাধা ছিল ৫৫ লাখ। পরের বছর থেকে প্রতিবছর লাখখানেক করে গাধা বাড়ছে। আগে কখনও এভাবে বাড়তে দেখা যায়নি। জানা যাচ্ছে, এতে সরকারের বেশ উৎসাহ রয়েছে। এর কারণ তাদের আর্থিক দুরবস্থা। কয়েক বছর ধরে দেশটি গুরুতর আর্থিক সংকটে রয়েছে। এমনকি করোনা মহারির পর দেউলিয়া হবার উপক্রম হয়েছিল। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মাথার উপর ঝুলছে বিপুল ঋণের বোঝা। ২০২৩ সালেও মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছিল ৩৮ শতাংশে।


অবস্থা মোকাবিলায় পাক সরকার নানা রকম পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। তবে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।

এরই মধ্যে চীনে গাধার অভাব দেখা দেয়।


চীনে গাধার দুই রকম চাহিদা রয়েছে:

চীনের বাজারে ‘ইজিয়াও’ নামে একটি ওষুধের চাহিদা তুঙ্গে। এই ওষুধ তৈরির প্রধান উপাদান গাধার চামড়া। ১৬৪৪ সাল থেকে এর ব্যবহার রয়েছে দেশটিতে। সেকালে শুধু রাজপরিবারে এর ব্যবহার ছিল। কিন্তু এ যুগে সবারই সবকিছু নাগালে। চীনাদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে তার সবারই জানা। সেই উন্নতির কারণেই গাধা উৎপাদনে আগ্রহ কম।

দুই পাকিস্তানি ইউটিউবার আজলান শাহ ও বরিষা জাভেদ খান গাধার সঙ্গে। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে এই ব্যতিক্রমী উপহার দিয়ে অনলাইনে অনেকের নজরে এসেছেন : এনডিটিভি

তাছাড়া পাহাড়ি পথে গাধার বিকল্প নেই। চীন ছাড়াও ইউরোপ-এশিয়ার অন্য বহু দেশের লাখ লাখ পাহাড়ি পথে মাল টানতে গাধাই প্রধান ভরসা।

চাহিদা মেটাতে চীন আফ্রিকা থেকে গাধার চামড়া আমদানি শুরু করে। কিন্তু আফ্রিকার দেশগুলোও সম্প্রতি আর গাধা রপ্তানি করছে না। 

গাধার চামড়া থেকে তৈরি ওষুধ

অবস্থাটা বেশ গুরুতর। গত মে মাসের শুরুর দিকে এমনকি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে চিঠি দিয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল। চিঠি বলা হয়েছে, বহুবার অনুরোধ সত্ত্বেও চীন গাধার চামড়ার চোরাচালান রুখতে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চীনের কারণে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে লাগাতার গাধা হত্যা করা হচ্ছে। চীন সক্রিয় না হলে আফ্রিকা থেকে গাধা হয়ত মুছে যাবে। আফ্রিকান ইউনিয়ন বলছে, ২০২২-২৩ সালে আফ্রিকায় ৬৫ হাজার গাধা হত্যা করা হয়েছে চামড়া রপ্তানির জন্য। গত এক দশকে এই সংখ্যা কম করে হলেও ৬ লাখ।


আফ্রিকায় গাধা উৎপাদন সহজ নয়। অথচ গাধা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বাহন।

এমন অবস্থায় পাক চাষিরা গাধা নিয়ে বেশ উৎসাহের সঙ্গেই লড়ছেন।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন