২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আগ্রাসন শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোতে রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করা হয়। এসব সম্পদ থেকে বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার সুদ আসে।

সেই সম্পদ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দিচ্ছে  শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘এটা রাশিয়াকে আরেকবার মনে করিয়ে দেয়া যে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না।’

রাশিয়া এর পাল্টা হিসেবে‘সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

একে দেখা হচ্ছে ইউক্রেনকে যুদ্ধ ও দেশটির অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা হিসেবে।

ইটালিতে জি-৭ সামিটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং বাইডেন ১০ বছর মেয়াদি একটি দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তিটিকে কিয়েভ ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

এই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে, কিন্তু এখানে ওয়াশিংটন সৈন্য পাঠিয়ে সহায়তা করবে এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এসব দেশ ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।

চুক্তিটির প্রশংসা করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক একে ‘গেম চেঞ্জিং’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

মে মাসে ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের যে সামরিক সহায়তার কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তার তুলনায় এই ৫০ বিলিয়ন ডলারকে বড় সহায়তা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে কিয়েভে কেউ কেউ নগদ অর্থ সহায়তার জন্য চেষ্টা করছিল। তারা চেয়েছিল, শুধু সুদ নয়, বরং জি-৭ দেশগুলোতে আটকে থাকা তিনশ বিলিয়ন ডলারের পুরোটাই ছাড়া দেয়া হোক। কিন্তু ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটি নাকচ করে দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দেশগুলো রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করে ইউক্রেনকে দিতে পারে না।

জি-৭ এর সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা ‘সর্বোচ্চ বেদনাদায়ক’ পাল্টা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি