ছবি: বিবিসি
কুয়েতে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয়। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভারতের পররাষ্ট্র মন্তণালয়ের বরাতে এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন। তবে বাকিদের পরিচয় জানায়নি বিবিসি।
বিবিসি জানায়, নিহতদের অধিকাংশই ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা ও তামিল নাড়ুর। একই ঘটনায় অন্তত ৫০ জন ভারতীয় আহতও হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে ফিলিপাইন্স ও নেপালের নাগরিকও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কুয়েতের জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগই প্রবাসী শ্রমিক। দেশটি বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে গৃহস্থালি ও নির্মাণ খাতে দেশটি বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল।
এদিকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভবনটিতে ১৯৬ জন শ্রমিক থাকার কথা। তবে এর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কয়েতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবনের একটি তলার রান্নাঘরে আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভবনের বাসিন্দারা ঘুমিয়ে ছিলেন। বেশির ভাগ বাসিন্দারই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় পাঁচতলা থেকে বেশ কয়েকজন লাফিয়ে পড়েন। তাতে তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে বুধবার এক পুলিশ কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৬টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় কর্তৃপক্ষ। আর যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে গৃহকর্মীরা থাকতেন। ঘটনার সময় ভবনে প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক ছিল। তাদের মধ্যে কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আগুনের ধোঁয়ায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এই দুর্ঘটনায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঘটনার জন্য এস্টেট মালিকদের ‘লোভকে’ দায়ী করেছেন।