হজে রাজনৈতিক স্লোগান দিলে কঠোর বিচার করবে সৌদি আরব
সৌদি আরবের দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাওফিক আল রাহবিয়া বলেছেন, হজ হলো একটি ইবাদত, এটি কোনো রাজনৈতিক স্লোগানের স্থান নয়। যদি কেউ রাজনৈতিক স্লোগান দেন তাহলে অতীতে ন্যায় তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাওফিক আল রাহবিয়ার কাছে রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক স্লোগানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইতিমধ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ১২ লাখ মুসলিম সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৪ জুন থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ১৬ জুন পবিত্র কুরবানি অনুষ্ঠিত হবে।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও শারীরিকভাবে সুস্থ প্রত্যেক নারী ও পুরুষের ওপর হজ পালন করা ফরজ। এসব ব্যক্তির জীবনে একবার হজ পালনের বিধান রয়েছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কিন্তু সৌদি আরবে এ নিয়ে কোনো উচ্চ বাচ্য হয়নি। কারণ দেশটিতে বিক্ষোভ করা অপরাধ। এছাড়া মত প্রকাশের স্বাধীনতাও এখানে খর্ব করে রাখা হয়েছে। ফলে হজকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পালে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে সৌদি সরকারের নিযুক্ত ইমামরা প্রতি শুক্রবার গাজাবাসীদের জন্য দোয়া করছেন। কিন্তু পবিত্র হজকে কেন্দ্র করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সৌদি আরব একে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ বাহরাইন এবং আরব আমিরাত সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
অন্যদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ হামলার পর থেকেই সৌদি ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে আসছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।