এরই মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফল অনুযায়ী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকার গঠন করবে। আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীই টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। ইতোমধ্যে জোটের পক্ষ থেকে তাকে সংসদ নেতা নির্বাচনও করা হয়েছে। 

ভারতে লোকসভায় মোট আসন ৫৪৩। এর মধ্যে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া পেয়েছে ২৩২ আসন। খবর এনডিটিভির। 

জানা যায়, ভারতের সংসদ সদস্যরা বেতনের পাশাপাশি নানা সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০১৮ সালে সংসদ সদস্যদের বেতনও বাড়ানো হয়েছে। 

জানা গেছে, মূল বেতন হিসেবে লোকসভার সদস্যরা মাসে এক লাখ রুপি পান। আর সংসদীয় আসনের জন্য ভাতা হিসেবে মাসে ৭০ হাজার রুপি দেওয়া হয় দেশটির এমপিদের। স্থানীয় অফিসের দেখভাল ও সংসদীয় আসন ঘুরে দেখার জন্য এই ভাতা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অফিসের ব্যয় বাবদ একজন সংসদ সদস্যকে মাসে দেওয়া হয় ৬০ হাজার রুপি। এর আওতার মধ্যে রয়েছে স্টেশনারি খরচ ও টেলিকমিউনিকেশন কর্মীদের বেতন।

সংসদীয় সেশন ও কমিটির বৈঠক-কালে একজন এমপিকে দৈনিক দুই হাজার রুপি দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যসহ অন্যান্য খরচ।

ভ্রমণ খরচ হিসেবে একজন এমপি ও তার পরিবারের সদস্যরা বছরে ৩৪টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ফ্রি সুবিধা পান। তাছাড়া সরকারি কিংবা বেসরকারি কাজে ফ্রিতে প্রথম শ্রেণির ট্রেন ভ্রমণের সুবিধা পান।

তাছাড়া পাঁচ বছরের মেয়াদকালে এমপিরা ফ্রি আবাসন সুবিধা পাবেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে কেউ কেউ বাংলো, ফ্ল্যাট ও হোটেল রুম পেতে পারেন। তবে যদি কেউ সরকারি আবাসনে না থাকেন, তাহলে মাসে দুই লাখ রুপি দাবি করতে পারেন।

সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার অধিকারী।

এক মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকার পর সাবেক এমপিরা মাসে ২৫ হাজার রুপি করে পেনশন পাবেন। কিন্তু মেয়াদের পরের প্রত্যেক বছরের জন্য দুই হাজার রুপি করে বেশি পাবেন।

এমপিদের জন্য বছরে এক লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত বিনামূল্যে টেলিফোন কল বরাদ্দ করা হয়। তারা তাদের বাসভবন ও অফিসে বিনামূল্যে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ পান।

এ ছাড়াও এমপিদের বছরে ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ও চার হাজার কিলোলিটার পর্যন্ত পানি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।