ছবি: সংগৃহীত
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া জোট সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন এই নেতা। তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠান পেছাতে পারে। এর আগে ৮ জুন তার শপথ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শপথ অনুষ্ঠান একদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দিল্লির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে এই খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮ জুন সন্ধ্যায় নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সেটি ৯ জুন হবে।
এদিকে আজ বিকেলে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির শপথ পিছিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরও একদিন পেছাচ্ছে। তিনি দিল্লির উদ্দেশে ৮ জুন রওনা করবেন। শপথ হবে ৯ জুন। দেশে ফিরবেন ১০ জুন।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকজন নেতাকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রানিল বিক্রমাসিংহে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল ‘প্রাচান্দা’, ভুটানের শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রাভিন্দ জুগনাথও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য ন্যুনতম ২৭২ আসন প্রয়োজন ছিল। তাই বিজেপি এনডিএ জোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করছে। অর্থাৎ ২০১৪ এর পর নজিরবিহীন এই পরিস্থিতির মুখে পড়ে এখন মোদি ও তার দল বিজেপিকে মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
বিজেপির সবচেয়ে বড় দুই মিত্র চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিএম) ও নীতীশ কুমার (জেডিইউ) যথাক্রমে ১৬ ও ১২ আসন পেয়েছে। তুলনামূলকভাবে কম আসন পেলেও তাদের সমর্থন মোদির জন্য এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যে এই দুই নেতা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও স্পিকারের পদসহ নানা বিষয়ে মোদির সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেছেন।