লোকসভা নির্বাচনে বারামুল্লা আসনে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা হেরে গেছেন। তিনি পরাজয় মেনে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সাবেক বিধায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল রশিদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রশিদ বর্তমানে ইউএপিএ মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহসভাপতি ১.২৯ লাখ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। তবে বুথফেরত জরিপে আবদুল্লার জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে বারামুল্লা ডিগ্রি কলেজে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে রশিদ এগিয়েছিলেন। পরের প্রতিটি রাউন্ডের গণনায় তিনি রয়েছেন।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, 'আমি মনে করি অনিবার্যকে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। উত্তর কাশ্মীরে জয়ের জন্য ইঞ্জিনিয়ার রশিদকে অভিনন্দন। আমি বিশ্বাস করি না যে তার জয় তাকে কারাগার থেকে মুক্তি ত্বরান্বিত করবে বা উত্তর কাশ্মীরের জনগণ তাদের অধিকার অনুযায়ী প্রতিনিধিত্ব পাবে না। তবে ভোটাররা কথা বলেছেন এবং গণতন্ত্রে এটাই গুরুত্বপূর্ণ।'
রশিদ তিহার জেল থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার হয়ে প্রচার চালিয়েছেন তার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার রশিদ।
রশিদ পেয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৬১০ ভোট। আর ওমর আবদুল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৫। আর ৯৮ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পিপলস কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ লোন।
এদিকে, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা কেন্দ্রে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী মিয়া আলতাফের চেয়ে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩১ ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন।
অনন্তনাগ-রাজৌরি লোকসভা আসনে নিজের পরাজয় স্বীকার করে মেহবুবা মুফতি এক্সে লেখেন, 'জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে আমি আমার পিডিপি কর্মী ও নেতাদের সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাদের কঠোর পরিশ্রম ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা। জয়-পরাজয় খেলারই অংশ এবং এটি আমাদের পথ থেকে বিরত রাখতে পারবে না। জয়ের জন্য মিয়া সাহেবকে অভিনন্দন।
শ্রীনগর লোকসভা আসনে ন্যাশনাল কনফারেন্সের আগা সৈয়দ রুহুল্লাহ মেহেদি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের ওয়াহিদ পাড়ার বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছেন, বিজেপির বর্তমান সাংসদ যুগল কিশোর শর্মা এবং জিতেন্দ্র সিং যথাক্রমে জম্মু ও উধমপুর থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
লাদাখে নির্দল প্রার্থী হানিফা জান কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে ২৭ হাজার ৯৯৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ২০১৯ সালে এই আসনে জেতা বিজেপি রয়েছে তৃতীয় স্থানে।