গত কয়েকদিন ধরে ভারতের পূর্বাঞ্চল, মধ্য প্রদেশ ও উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এই তাপপ্রবাহে ভারতে হিট স্ট্রোকে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। হিট স্ট্রোকের কারণে অসুস্থ হয়ে প্রায় ২০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের বাসিন্দা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বিহারে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দিল্লি, উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থান থেকেও একই ধরনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজস্থানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী কিরোদি লাল মীনা তার রাজ্যে হিট স্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অসহনীয় আবহাওয়ার কারণে এই রাজ্যে কমপক্ষে এক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বিশেষ করে দিল্লি ও রাজস্থানের কিছু অংশে তাপমাত্রা পৌঁছেছে প্রায় ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) মতে, বছরের এই সময়ে এটি দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
আইএমডি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ভারতে বিদ্যমান তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বেসরকারি সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে অতিরিক্ত গরমের কারণে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ছয় নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দেশটিতে চলমান সাধারণ নির্বাচনের শেষ ও চূড়ান্ত ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যেসব স্থানে ভোট গ্রহণ করার কথা ছিল সেসব স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় গত দুই দিনে হিট স্ট্রোকে ১০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় এক হাসপাতাল কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৪ ফারেনহাইটের কাছাকাছি ছিল, যা বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব বেশি। তিনি বলেন, 'মৃত্যুর পেছনে সম্ভাব্য কারণ এটিও হতে পারে। তাদের মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা যায়নি।