Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হামাসের কঠিন লড়াই, একের পর এক খারাপ পরিস্থিতি ইসরায়েলের

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৪:২৮ এএম

হামাসের কঠিন লড়াই, একের পর এক খারাপ পরিস্থিতি ইসরায়েলের

ছবি: সংগৃহীত

সাত মাস ভয়ঙ্কর যুদ্ধের পরও তৎপরতা কিছুটা কমলেও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনি ইসরায়েল। গোষ্ঠীটি এখনো ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি উত্তর গাজার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় গোষ্ঠীটি পুনরায় সংগঠিত হয়েছে এবং নিকটবর্তী ইসরায়েলি বাসিন্দাদের ওপর ফের রকেম হামলা শুরু করেছে। 

হামাসের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর রকমের বিমান হামলা চালিয়ে প্রথমদিকে কৌশলগতভাবে এগিয়ে যায় ইসরায়েল এবং স্থলপথে সেনা অভিযান চালানোর পথ তৈরি করে। কিন্তু প্রথমদিকের সেই এগিয়ে যাওয়া এখন হামাস যোদ্ধাদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণে পড়ে মিলিয়ে যাচ্ছে এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রতিনিয়ত তা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের যখন এই পরিস্থিতি, তখন অধিকাংশ ইসরায়েলি এই যুদ্ধকে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করে মনে করছেন, তাদের বাহিনী এখন শুধু খারাপ বিকল্পের মুখোমুখিই আছে।   

সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর তিন সদস্যের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার দুই সদস্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং নেতানিয়াহুর প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গ্যান্টজ হামাসের সঙ্গে করা এ যুদ্ধ নিয়ে নানা পরিকল্পনা ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এরই মধ্যে বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার প্রস্তাবও করেছেন।

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই জনের করা সাম্প্রতিক এসব পর্যালোচনার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, হামাসের হামলা ক্রমশ বাড়ছে। শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনী এগিয়ে থাকলেও এখন দিনকে দিনকে খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়ছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

তারা হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানকে সমর্থন করেছেন। যদিও ইসরায়েলি সেনারা এই প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলা এবং স্থল অভিযান চালায়। এতে গাজায় ব্যাপক হতাহত হয় এবং অবকাঠামোর ধ্বংস হয়। সীমান্ত বিধিনিষেধও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। 

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, ইসরায়েলের ব্যাপকভিত্তিক সামরিক অভিযান ও ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় গাজার কিছু অংশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

যদিও এখন এই দুই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক জেনারেল গাজার দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়বহুল পুনঃদখলের আশঙ্কা করছেন। ২০০৫ সালে গাজা থেকে ইসরায়েল সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে তারা সেনা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছেন। কারণ এতে গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বা তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করবে বলে তাদের ধারণা। এর পরিবর্তে, তারা চারটি বিকল্প পদক্ষেপ উপস্থাপন  করেছেন। যদিও অনেক ইসরায়েলি এসব পদক্ষেপকে অবাস্তব মনে করছেন। অন্যদিকে, হামাসও তাদের নিজস্ব যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন