তাইওয়ান ঘিরে ফের কেন সামরিক মহড়া চালাল চীন
ছবি: সংগৃহীত
তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। শুক্রবারও (২৪ মে) নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এ মহড়া চালায় চীন। এর আগে বৃহস্পতিবাও চীন সামরকি মহড়া চালায়।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, চীন বলছে স্বাধীনতার নামে তাইওয়ানে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ কর্যকলাপ চলছে। তাই তাইওয়ানকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্যই এই মহড়া চালানো হচ্ছে। মহড়ায় ক্ষমতা দখল করে নেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দক্ষতার বিষয়টি দেখানো হচ্ছে।
চীনের সামরিক মুখপাত্র লি সি জানান, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ নামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। তাই কঠোর শাস্তি হিসেবে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। এই মহড়ার মাধ্যমে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিরুদ্ধেও কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার তাইওয়ানে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং শপথ নেন। তারপরই তিনি বলেন, চীন যেন সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি দেখানো বন্ধ করে। তার এই বক্তব্যের ক্ষোভ থেকেই চীন এভাবে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
তাইওয়ান এই মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। চীনের ১২টি যুদ্ধজাহাজ মহড়ায় অংশ নিয়েছে এবং বিমানগুলো আকাশে চক্কর দিচ্ছে বলেও তাইওয়ান জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট লাই জানান, তাইওয়ানকে রক্ষার দরকার হলে তিনি প্রথম সারিতে গিয়ে দাঁড়াবেন। সোমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভাষণে লাই বলেন, তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। চীনের বার্তাসংস্থা শিনহুয়া ও সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলিতে এই মহড়ার প্রশংসা করে বলা হয়, লাই বিশ্বাসঘাতকের মতো আচরণ করছেন। লাই হলেন ভয়ঙ্কর বিচ্ছিন্নতাবাদী। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কঠোর শাস্তি হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাইওয়ানের ওপর চাপ দিতে চীন তাদের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। আর জাতিসঙ্ঘ সব পক্ষকে সংযত আচরণ করতে বলেছে।