ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের আরাকান আর্মিকে (এএ) রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে প্রায় ২০০ বিপ্লবী গোষ্ঠী ও সুলিশ সমাজ সংগঠন। জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরাকার আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অর্ধেক নিজেদের দখলে নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ১৮ মে বুচিডং শহর সফলভাবে দখলে নেওয়ার সময় আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং বেসামরিক লোকদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বুধবার (২২ মে) বিপ্লবী গোষ্ঠী ও সুলিশ সমাজ সংগঠনের পক্ষে ১৯৫ জনের স্বাক্ষর করা এক যৌথ বিবৃতে এই আহ্বান জানানো হয় বলে মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী খবর দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এএ নেতাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যা বা আটক করবে না বলে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সাধারণ সৈন্যরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।
বিবৃতি তারা গত এপ্রিল ও চলতি মে মাসে বুচিডংয়ের থানইয়াউখে এবং ইয়েতনিয়োটাং গ্রামে এবং উত্তর মংডুর থায়েতোক গ্রামে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, গ্রেপ্তার এবং হত্যার কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া ১৭ মে রাতে এএ সৈন্যরা বুচিডং শহরে বেসামরিক রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং ধ্বংস করে দেয় বলেও উল্লেখ করা হয়। এসব অপরাধকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বলেও বর্ণনা করে বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো।
এদিকে, গত ১৮ মে আরাকান আমি দাবি করে, বুচিডংয়ে থাকা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অবশিষ্ট ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে শহরটির দখল তারা নেয়। সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে আরাকান আর্মির ধারাবাহিক বিজয়ের সর্বশেষ ঘটনা এটি। যদিও জাতিগত সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন ও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে বলেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ওই বাড়িঘরে আগুন ধরে যায়।