জেনারেল আজিজকে দেওয়া মার্কিন পাবলিক ডেজিগনেশন আসলে কী?
দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দাপ্তরিক ভাষায় এ ঘোষণাকে বলা হয়, পাবলিক ডেজিগনেশন। এখন কথা হলো এই পাবলিক ডেজিগনেশন কী?
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্কাইভে থাকা এক নিবন্ধে পাবলিক ডেজিগনেশন সম্পর্কে বলা হয়েছে- বিভিন্ন আইনি কর্তৃপক্ষের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসমক্ষে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সন্ত্রাসী এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে শনাক্ত করতে পারেন। আর এই শনাক্তকরণ এবং তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাকেই ডেজিগনেশন বলা হয়। এই ডেজিগনেশন বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী বা ব্যবসা করছেন এমন সবার ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।
ডেজিগনেশ প্রস্তুত করে দ্য পাবলিক ডেজিগনেশন ইউনিট। পরে তা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবেচনা করেন। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ হলে তা কার্যকরও নিশ্চিত করে ডেজিগনেশন ইউনিট। কোনো ডেজিগনেশনের সুনির্দিষ্ট আইনি পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করে কোন আইনি কর্তৃপক্ষ ডেজিগনেশনটি তৈরি করেছে তার ওপর। ব্যক্তি বা সংগঠন—উভয়ের ক্ষেত্রে একাধিক কর্তৃপক্ষ ডেজিগনেশন তৈরি করতে পারে।
প্রসঙ্গত: জেনারেল আজিজ আহমেদ উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার পাশাপাশি তার ভাইয়ের অপরাধ চাপা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়। তারা আরও বলেছে, আজিজ অন্যায্যভাবে তার ভাইকে সামরিক চুক্তি পাইয়ে দিতে জোরালোভাবে কাজ করেছেন। ব্যক্তি স্বার্থের জন্য ঘুষ নিয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিয়েছেন।
৭০৩১ (সি) ধারায় এই পাবলিক ডেজিগনেশন করা হয়েছে। এর ফলে জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নতুন এই ঘোষণার বিষয়ে বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উল্লেখ করেছে, এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।