ছবি: সংগৃহীত
আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে চালানো এক জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মজার ব্যাপার হলো, জনমত এই জরিপে দুজনই সমান সমর্থন পেয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স/ইপসোস এই জরিপ চালায়।
বর্তমানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি অপরাধের মামলার বিচার চলছে। অন্যদিকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে আছেন বাইডেন। দিন দিন এই সমালোচনা বাড়ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আট দিনব্যাপী চলে এই জনমত জরিপ। মঙ্গলবার শেষ হওয়া এই জরিপে নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারীদের ৪০ শতাংশ বলেছেন এখন নির্বাচন হলে তারা বাইডেনকে ভোট দেবেন। একই সংখ্যক অংশগ্রহণকারী বলেছেন তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। এর আগে ২৯-৩০ এপ্রিলে রয়টার্স/ ইপসোস চালানো জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে ছিলেন বাইডেন।
সর্বশেষ জরিপটিতে প্রায় ২ শতাংশ পয়েন্টকে মার্জিন অব এরর ধরা হয়। আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হবে। সেই হিসাবে আরও ছয় মাস বাকি। তাই অনেক নিবন্ধনকারী জরিপে অংশ নেননি। আর ২০ শতাংশ নিবন্ধনকারী বলেছেন, তারা এই দুই প্রার্থীর কাউকেই ভোট দেবেন না। তৃতীয় প্রার্থী খুঁজছেন অথবা ভোটই দেবেন না।
এদিকে, ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন রবার্ট কেনেডি জুনিয়র প্রার্থী হলে তারা তাকে বেছে নেবেন। ভ্যাকসিন বিরোধী অধিকারকর্মী রবার্ট কেনেডি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। যদিও এ জরিপে তৃতীয় কোনো প্রার্থী ছিল না। এর আগে এপ্রিলে চালানো জরিপে রবার্ট কেনেডি ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছিলেন।
প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে চালানো এই জরিপে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করা হয়। সবকটি বিবেচনায় ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। দেশব্যাপী চালানো এসব জরিপে প্রার্থীদের জন্য ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির নির্বাচনে সুইং স্টেটই (দোদুল্যমান রাজ্য) শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয় ফলাফলে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৭০ বছরের ইতিহাসে এবারই বোধহয় প্রথম দুই প্রার্থীই দায় নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেমন গত মাসের বেশিরভাগ সময়ই ট্রাম্প ম্যানহাটনের আদালত কক্ষে কাটিয়েছেন। পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়া ও গোপন নথি নিজের কাছে রাখাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বাইডেনের বয়স ৮১ চলে। এই বয়সকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য উদ্বেজনক মনে করেন দেশটির অনেক ভোটার। এছাড়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলকে অকুণ্ঠ সমর্থন, ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ দমনসহ নানা সংকটে রয়েছেন বাইডেনের। চলমান ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে তরুণ ভোটাররা যুক্ত। আর এটাই বাইডেনের মাথা ব্যথার বড় কারণ।