দুবাইয়ে ভারত ও পাকিস্তানিদের সম্পদের পাহাড়, তালিকায় জারদারি-শরিফসহ অনেকে
আউটলুক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১১:০১ পিএম
পাকিস্তানের অর্থনীতি দেনার দায়ে জর্জরিত। রয়েছে রিজার্ভ সংকট। বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। তাই ঋণ পাওয়ার জন্য চালাচ্ছে জোর প্রচেষ্টা। এমন সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিসহ কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিপুল পরিমাণ গোপন সম্পদ থাকার তথ্য ফাঁস হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক দ্য অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুসারে, দুবাইয়ে বিদেশিদের মালিকানায় থাকা সম্পদের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভারত। এরপরই পাকিস্তানের অবস্থান। সেদেশে পাকিস্তানিরা সব মিলে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
পাকিস্তানি পত্রিকা ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের মালিক। তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা ছাড়াও শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, ব্যাংকার ও আমলাদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিজাত এলাকাগুলোয় সম্পদ রয়েছে। এরমধ্যে দুবাইয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির আছে দুটি প্রপার্টি রয়েছে। সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের আছে প্রপার্টি।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভির স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসেন নওয়াজ শরিফ, রাজনীতিবিদ শারজিল মেমন, সিনেটর ফয়সাল ভাউদা, জাতীয় পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের কয়েকজন সদস্যের সম্পদ রয়েছে সেদেশে। রোশান হুসেন ও হুসেন জাহুর নামের দুই পাকিস্তানি ধনকুবের নামও আছে এ তালিকায়।
তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল, একজন পুলিশপ্রধান, একজন দূত ও একজন বিজ্ঞানীর নামও আছে। তাঁরা কেউ সরাসরি সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন, কেউ স্বামী-স্ত্রী বা সন্তানের নামে সম্পদ কিনেছেন।
ওমনি গ্রুপের আসলাম মাসুদ, সোহরাব দিনশাউ, হামিদ মুখতার শাহও দুবাইয়ে বিলাসবহুল আবাসনের মালিক।
এদিকে তালিকার শুরুতে রয়েছে ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানির নাম। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম দ্বীপে তাঁর আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। এছাড়া ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলী ও তাঁর পরিবারের পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিলের দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক। এর বাইরের অনেক ভারতীয়দের দুবাইয়ের সম্পদ রয়েছে।