দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ায় খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার কেজরিওয়ালের জামিনের খবর শুনে এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের খুশি হওয়ার কথা জানান মমতা।
এক্সে এক পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছে শুনে আমি খুব খুশি হলাম। বর্তমান নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এটা খুবই সহায়ক হবে।' এর আগে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি তখন বলেছিলেন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে গ্রেপ্তার করা গণতন্ত্র বিরোধী।
আজ শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলছে, আগামী ২ জুন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে। তার জামিন আদেশের বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ২১ মার্চ আবগারি নীতি দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন থেকে তিনি তিহার জেলে বন্দী রয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুযোগের জন্য জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেন কেজরিওয়াল। গত মঙ্গলবার তার বিরোধিতা করে ইডি। তাদের বক্তব্য, আইন সকলের জন্য এক। নির্বাচনে প্রচার করতে পারা মৌলিক, সাংবিধানিক এমনকি আইনি কোনো অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
তবে তার জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘দুটি বিষয়কে সমান্তরাল করার চেষ্টা করব না। মার্চে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে। এটা আগে বা পরে করা হতে পারত। আর ২১ দিন পরে সেটা হলেও কিছু যায় আসে না। ২ জুন কেজরিওয়াল আত্মসমর্পণ করবেন।
কেজরিওয়ালের আইনজীবী শাদান ফারাসাত বলেন, তিনি যাতে শুক্রবারই তিহাড় জেল থেকে বার হতে পারেন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কথা মৌখিক ভাবে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। আপলোড হওয়ার পরেই জানতে পারব, জামিনের আর কোনো শর্ত রয়েছে কি না।
নিয়ম মেনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী দায়রা আদালতে যাবেন। সেখানে তৈরি হবে মুক্তির নির্দেশ। সেই নির্দেশ পাঠানো হবে তিহাড় কর্তৃপক্ষকে। দায়রা আদালতের নির্দেশ পেলে তারপর জেল থেকে মুক্তি পারবেন কেজরিওয়াল।