২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নটা ফিকে হয়ে গিয়েছিল। যদিও ৭৫ মিনিটে এবং অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয়ভাব ২-২ গোলে ড্র হয় স্কোরলাইন। এরপর সরাসরি টাইব্রেকার। টাইব্রেকারে পাকিস্তানকে ৮-৭ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে

আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই জয়ের ফলে ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। ভারত আজ প্রথম সেমিফাইনালে নেপালকে হারিয়েছে ৪-২ গোলে।

মজার ব্যাপার হলো, থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে শেষ বাঁশির ঠিক আগে বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী গোলকিপার নাহিদুল ইসলামকে তুলে মাঠে পাঠান আলিফ রহমান ইমতিয়াজকে। টাইব্রেকারে পাকিস্তানের আবদুল গনির নেওয়া অষ্টম শটটি আটকে দেন বাংলাদেশ গোলকিপার। এরপর অষ্টম শটে আশিকুর রহমান গোল করে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ফাইনালে। আর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানো গোল দুটিও করেন দুই বদলি খেলোয়াড়ের। কোচ সাইফুল বারীর খেলোয়াড় বদলির সিদ্ধান্তগুলো দারুণভাবে কাজে এসেছে।

দুই গোলে এগিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য হতাশার। গ্রুপ পর্ব তিন ম্যাচে তারা ৯ গোল করেছিল। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩২ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। কর্নার থেকে হেডে পাকিস্তানের গোলটি করেন শাহাব আহমেদ। ৬০ মিনিটে বক্সে বাংলাদেশের এক ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় পাকিস্তান। এতে সহজে স্কোরলাইন ২-০ করেন পাকিস্তানের লেফট ব্যাক আবদুল রেহমান। ৭৫ মিনিটে ২-১ করেন বাংলাদেশের বদলি নামা মিঠু চৌধুরী। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে আরেক বদলি মোহাম্মদ মানিকের গোলে। বক্সে সতীর্থের বাড়ানোর বলে আলতোভাবে বল ঠেলতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার।

গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ১-০ গোলে হারের পর মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এই ড্রয়ের পর বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠাই ছিল অনিশ্চিত। কিন্তু ভারতের কাছে মালদ্বীপ বড় ব্যবধানে (৩-০) হারলে ভাগ্য খুলে যায় বাংলাদেশের। আজ সেমিফাইনালে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। টাইব্রেকারে হেসেছে শেষ হাসি।