Logo
Logo
×

খেলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল

আবহাওয়া পরিস্থিতি কী, পিচ কেমন, কী হবে দলের হিসাবনিকাশ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

আবহাওয়া পরিস্থিতি কী, পিচ কেমন, কী হবে দলের হিসাবনিকাশ

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে লড়বে ভারত। 

১৭ বছর আগে ২০০৭ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বসেরার প্রতিযোগিতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। আর ভারত প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও পরে আর শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি। যদিও এরপর একবার দলটি ফাইনাল খেলেছে। 

২০০৭ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই শিরোপা জেতে ভারত। সেবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে ৫ রানে হারায় তারা। তবে ২০১৪ সালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলঙ্কা।

এবার দশ বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। শক্তিমত্তার বিচারে একেবারে তুঙ্গে রয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাই বিশ্বকাপ জয়ে এবার বড় আশা দেখছে ভারতের ক্রিকেটভক্তরা।

অন্যদিকে, ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্ব আসরে বারবার সেমিফাইনাল খেললেও এই প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ‘চোকার’ থেকে ‘উইনার’ হতে সব রকম চেষ্টাই করবে আইডেন মার্করামের দল।

চলুন জেনে নেই, এই ফাইনাল ম্যাচের খুঁটিনাটি।

কখন শুরু হবে

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি। এর আধঘণ্টা আগে হবে টস।

কোথায় হচ্ছে ফাইনাল

বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একসঙ্গে ২৮ হাজার দর্শক এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারেন।

পিচের অবস্থা

ব্যাটারদের স্বর্গ না হলেও কেনসিংটন ওভালে চলমান টুর্নামেন্টের কয়েকটি ম্যাচেই ভালো স্কোর গড়তে দেখা গেছে। এ মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় পেসাররাই এগিয়ে রয়েছেন। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা- দুই দলেই অসাধরণ কয়েকজন পেসার থাকায় দুপাশেই আজ জমাট লড়াই দেখার আশা করছেন বিশ্লেষকরা।

আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে?

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবহাওয়ার মেজাজ একেবারেই ভালো দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে কয়েকটি ম্যাচ দেরিতেও শুরু হয়েছে।

বার্বাডোজের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে,  শনিবার ব্রিজটাউনের আবহাওয়ার খবর খুব বেশি স্বস্তিদায়ক নয়। রবিবার একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় দ্বীপটির দিকে অগ্রসর হবে। ফলে ওই অঞ্চলে গুরুতর আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

তবে দর্শক আশা করছে, পূর্ণ ২০ ওভারের দুটি ইনিংসই দেখতে পাবে তারা।

যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে কী হবে?

ম্যাচের আগে বৃষ্টি হলে বা বৃষ্টিতে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে বিঘ্ন ঘটলে সর্বোচ্চ ১৯০ মিনিট বা তিন ঘণ্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে খেলা শুরু করা গেলে পূর্ণ ২০ ওভারের ইনিংসই খেলানো হবে। তা সম্ভব না হলে কমপক্ষে ১০ ওভার করে খেলানো হবে। তবে শনিবার ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে পরের দিন (রোববার) রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। এরপরও ম্যাচটি খেলা সম্ভব না হলে দুই দলকেই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

ফাইনাল ম্যাচ টাই হলে কী হবে?

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে ম্যাচের নিষ্পত্তি করা হবে। প্রথম সুপার ওভারও যদি টাই হয় তবে ফের আরও একটি করে সুপার ওভার খেলানো হবে। এভাবে ম্যাচের ফলাফল না আসা পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে।

টস ভাগ্য কী বলছে?

এই মাঠে এখন পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচের পাঁচটিতে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়করা। তবে কিছুটা মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে এখানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠে টস জিতে রোহিত শর্মা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচটিতে ৪৭ রানের জয় পায় ভারত। তবে ভারতের এই মাঠে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চলমান টুর্নামেন্টে এটিই প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে।

হেড টু হেড

দুই দলের দেখায় এখন পর্যন্ত ভারতই কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪ ম্যাচ জিতেছে ভারত। অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের জয় ১১টি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে এর আগে পাঁচবারের দেখায় চার ম্যাচই জিতেছে ভারত।

সবশেষ গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ভারত। ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করে দুই দল। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। তবে চলমান বিশ্বকাপ আসরে দুই দলই রয়েছে দারুণ ছন্দে। এখন পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত দুই দলই। ফলে এক দুর্দান্ত ফাইনালের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

দলের খবর

ভারত

তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে সাজানো বোলিং আক্রমণ নিয়ে এখন পর্যন্ত দারুণ সফল ভারত। দলটির বোলারদের সবাই রয়েছে দারুণ ফর্মে। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সব প্রতিপক্ষকেই নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তারা। আবার ফর্মের চূড়ায় রয়েছেন ব্যাটাররাও। ফলে আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র ও সবশেষ ইংল্যান্ডকে হারানো একাদশই অপরিবর্তিত রাখতে পারেন ভারতের নির্বাচকরা।

সম্ভাব্য একাদশ:

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব।

দক্ষিণ আফ্রিকা

ভারতের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার ও তিন পেসার টুর্নামেন্টজুড়ে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বারবার। এছাড়া মাঝেমধ্যে হাত ঘুরিয়ে থাকেন দলটির অধিনায়ক মার্করামও। ফলে বোলিং নিয়ে কিছুটা নির্ভারই থাকবেন মার্করাম। তবে ব্যাটাররা একেবারেই ধারাবাহিক নেই বিশ্বকাপের এই আসরে। 

অবশ্য, বিভিন্ন ম্যাচে কোনো এক বা দুজন ব্যর্থ হলেও অন্যরা ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। সর্বোপরি, টিম পারফরম্যান্সের কারণেই সবগুলো ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাই শেষ ম্যাচেও দলের টিম ওয়ার্কই দেখতে চাইবে সমর্থকরা। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ধসিয়ে দেওয়া একাদশ অপরিবর্তিত রাখতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সম্ভাব্য একাদশ: 

কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিজা হেন্ড্রিক্স, আইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া ও তাবরাইজ শামসি।

সূত্র: ইউএনবি

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন