Logo
Logo
×

খেলা

রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল দ. আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচ

Icon

ইউএনবি

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:১০ পিএম

রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল দ. আফ্রিকা-আফগানিস্তান ম্যাচ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় চরম বিপর্যস্ত হয়েছে আফগানিস্তান। প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৫৬ রানেই আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে আফগান ব্যাটারদের।

ম্যাচে এক ইনিংসে বেশকিছু রেকর্ড হয়েছে, আবার কিছু রেকর্ড ভেঙে গড়া হয়েছে, যার বেশিরভাগ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গৌরবের হলেও আফগানিস্তানের জন্য লজ্জার।

দ্বিতীয় সর্বনিম্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে কোনো দলের এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম রেকর্ডটিও তাদের। ২০১০ বিশ্বকাপে মাত্র ১৪ রান সংগ্রহ করতে গিয়ে ছয় উইকেট হারায় তারা।

পাওয়ার প্লেতে পাঁচ

বৃহস্পতিবারের প্রথম সেমিফাইনালে পাওয়ার প্লেতে পাঁচ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এটি চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চমবার ৫ উইকেট হারানোর ঘটনা।

মজার বিষয় হচ্ছে, এর আগের চারটি ইনিংসের দুটি ছিল এই আফগানদের বিপক্ষে অন্য দলের। তবে এবার আফগানিস্তানই এই লজ্জার রেকর্ডে নাম ওঠাল।

গ্রুপপর্বে উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ৫টি করে উইকেট নেন রশিদ-নবীরা।

এছাড়া গ্রুপপর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজও উগান্ডার পাঁচ উইকেট নেয়। আরেকটি ইনিংস আয়ারল্যান্ডের, পাকিস্তানের বিপক্ষে নাকানি-চুবানি খেয়েছিলেন পল স্টার্লিংরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বনিম্ন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে আফগানিস্তান। এর মাধ্যমে চলতি বিশ্বকাপের শুরুতে গড়া রেকর্ডটি (৭৭) পেছনে ফেলে লঙ্কানদের স্বস্তি দিয়েছে তারা।

এর আগের রেকর্ডটিও ছিল আফগানদের (৮০)। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৮০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সেবারও ২০০৯ সালে স্কটল্যান্ডের গড়া রেকর্ড (৮১) ভেঙে দেয় তারা।

নিজেদের সর্বনিম্ন

এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে রশিদ খানের দল। এর আগে ২০১৪ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।

এছাড়া এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ২০১০ সালে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১২ সালে ৮০ রানে ইনিংস শেষ করার রেকর্ড আছে আফগানদের।

বিশ্বকাপে দ্বিতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে পূর্ণ একাদশ নিয়ে খেলে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। তবে ৫৫ রান নিয়ে তালিকার তলানিতে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। দুবাইয়ে ২০২১ আসরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এই লজ্জার রেকর্ড গড়ে ইংলিশরা।

এছাড়া ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড (৬০) এবং ২০১৬ আসরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশের (৭০) নামও রয়েছে এই তালিকায়।

সেমিতে সর্বনিম্ন আফগানিস্তান

৫৬ রানে অলআউট হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ইতিহাসে প্রথম এত কম রানে গুটিয়ে গেল কোনো দল।

এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই ১০১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড আছে অস্ট্রেলিয়ার।

ফারুকির অর্জন

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তানের সাফল্যের নেপথ্যে ছিল ফজলহক ফারুকির অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য।

৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনিই। শুধু তাই নয়, এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড।

এ তালিকার পরের তিনটি রেকর্ডই শ্রীলঙ্কার, একটি ভারতের। ২০২১ বিশ্বকাপে ১৬ উইকেট নেওয়ার পরের আসরে (২০২২) ১৫ উইকেট নিয়ে পরপর দুই আসরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা।

এছাড়া ১৫টি উইকেট আছে ২০১৫ বিশ্বকাপে ত্রাস ছড়ানো অজন্তা মেন্ডিসের নামের পাশেও।

তবে চলতি আসরে ভারতের আর্শদীপ সিংয়ের ঝুলিতেও ১৫টি উইকেট রয়েছে। আজ রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। এই ম্যাচেও তাকে দেখা যেতে পারে। আবার ম্যাচটি জিতলে ফাইনালেও খেলার সুযোগ থাকবে এই তরুণ পেসারের। ফলে ফারুকির রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তার সামনে।

প্রোটিয়াদের প্রথম

সব সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে মোট সাতটি সেমিফাইনাল খেলার পর অষ্টমবারে প্রথম ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের অজেয় যাত্রা

আফগানদের বিপক্ষে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২২ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ারও টানা ৮ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল। তবে ভারতের বিপক্ষে হেরে তাদের সে জয়যাত্রা থেমেছে।

এছাড়া ইংল্যান্ড (২০১০-১২) ও ভারতের (২০১২-১৪) বিশ্বকাপে টানা ৭ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার লম্বা দৌড়

শুধু বিশ্বকাপে নয়, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে এক পঞ্জিকাবর্ষে এটিই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ টানা জয়ের রেকর্ড।

এর আগে ২০২১ ও ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা।

বড় ব্যবধানের জয়

উইকেটের ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। এক যুগ আগে ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ উইকেটে জিতেছিল তারা।

এছাড়া বল হাতে রেখে জয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (৬৭ বল) জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫১ বল হাতে রেখে জয় পায় দলটি।

আফগানিস্তানের জন্যেও সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে প্রতিপক্ষকে জিততে দেওয়ার রেকর্ড এটি।

টি-২০ বিশ্বকাপে প্রোটিয়া বোলাররা

টি-২০ বিশ্বকাপের এক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এবার সর্বোচ্চ ১৩টি উইকেট নিয়েছেন আনরিখ নর্টকিয়া। ফাইনাল ম্যাচটি খেললে এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার।

এর আগে ২০১৪ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ১২টি উইকেট নেন ইমরান তাহির। তার সমান উইকেট নিয়ে এবার যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ফাইনাল ম্যাচে তাহিরকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন তিনিও।

এ ছাড়াও ১১টি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট (২০১০), নর্টকিয়া (২০২২) এবং তাবরাইজ শামসি (২০২৪*)।

এক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় চলতি আসরেই তিন বোলার রয়েছেন, যাদের এখনও ফাইনাল খেলা বাকি। ফলে এই রেকর্ডটি উল্টেপাল্টে নতুন করে লিখতে পারেন তাদের যে কেউ।

সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্যের ম্যাচ

আজকের ম্যাচে সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ১২৪ বল। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে বলের হিসাবে এটিই সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ম্যাচ। এর আগে ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি নিষ্পত্তি হয়েছিল ২০৩ বলে।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন