ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে ইতিহাস গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে প্রোটিয়ারা। এর আগে বেশ কয়েকবার ফাইনালের হাতছানি পেলেও নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত ছিটকে পড়েছিল। তকমা পেয়েছিল চোকার্সের। এবার সেই নেতিবাচক তকমা থেকে মুক্তি পেল ডোনাল্ড-পোলকদের উত্তরসূরিরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রোটিয়ারা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য দেখিয়েই জয়ী হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই আফগান ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। আজমতুল্লা ওমরজাই ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তিনি ব্যাটার মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ রান করেন। তবে দলের জন্য সর্বোচ্চ রানটি আসে অতিরিক্ত থেকে। এদিন, অতিরিক্ত ১৩ রান দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সবমিলিয়ে আফগান ব্যাটাররা ১১ ওভার ৫ বল খেলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫৬ রান যোগ করতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তাবরাইজ শামসি ও মার্কো জেনসেন ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন নরকিয়া ও রাবাদা। আফগান ব্যাটারদের মধ্যে তিনজন শূন্য, চারজন ২ ও দুইজন ৮, একজন ৯ এবং একজন সর্বোচ্চ ১০ রান করেন।
আফগানদের দেওয়া ৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ৬৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। অল্প রান তাড়ায় নেমে সাবধানী শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও দলীয় পাঁচ রানে ডি ককের উইকেট হারায় তারা। এরপর হেনড্রিকস ও মার্করাম দেখেশুনে খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ডি কক ৫ রানে আউট হলেও হেনড্রিকস ২৯ এবং মার্করাম ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মার্কো জেনসেন। ফাইনালে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে প্রোটিয়ারা।