ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স করতে না পারার পরও অধিনায়ক ও কোচের চাওয়াতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয় লিটন দাসকে। যদিও কোচ ও অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি লিটন।
এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১৪.১৬ গড়ে মাত্র ৮৫ রান করেছেন তিনি। স্টাইক রেট মাত্র ৮৫। এবারের বিশ্বকাপে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৬ রানের। বিশ্বকাপের মতো পুরো বছর জুড়েই ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে পারেননি লিটন। একশর কম স্ট্রাইক রেটে ১৪ ম্যাচে করেছেন ১৭৮ রান। এমন পারফরম্যান্সের পরও নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। তাই তাকে বিশ্রাম দিতে বলেছেন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস।
আবার লিটন একাদশে থাকার পরও জাকের আলী অনিককে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। একই ম্যাচে দুজন উইকেটকিপার ব্যাটার খেলানোর উত্তরও খুঁজে পাচ্ছেন না ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন, ‘আমি একটা ম্যাচে দুইটা উইকেটকিপার ব্যাটার খেলাচ্ছি কেন? আমার প্রশ্ন হচ্ছে এটা। একটা ছেলে যদি রান না করে তখন তাকে তো অন্তত একটা বিশ্রাম দিতে পারি। লিটন রান করছে না তাকে একটা বিশ্রাম দিয়ে জাকেরকে ট্রাই করি। তাহলে ওই জায়গায় আমি একটা বোলার খেলাতে পারছি। আমাদের দেশে কিছু রীতি-নীতি হয়ে গেছে এই ব্যাটাররা সারাজীবনই খেলবে। ভালো খেলুক, খারাপ খেলুক খেলতেই থাকবে। এটা অন্যায়, সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত। না হলে আমরা এভাবেই ভুগতে থাকব।’
ভারতের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ নির্বাচন নিয়ে অনেক বেশি সমালোচনা হচ্ছে। পুরো বিশ্বকাপে জুড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন বোলাররা। অথচ ভারতের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদকে বসিয়ে জাকেরকে খেলানো হয়। যার ফলে সবচেয়ে ভালো স্পিন খেলা ভারতের বিপক্ষে নামতে হয়েছে ৪ জন স্পিনার ও ২ জন পেসার নিয়ে। তাসকিনের জায়গায় কেন শরিফুলকে খেলানো হয়নি সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ইমরুল বলেন, ‘তাসকিন বাংলাদেশের সেরা বোলার আপনাকে মানতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে শরিফুল খুব ভালো বোলিং করতেছে। আমি আমার সেরা বোলারদের বসিয়ে রেখে কেন অন্য জিনিস চেষ্টা করবো। এটা আমার বুঝে না আসে না। চেষ্টা যদি করতেই হয় তাহলে যেখানে হচ্ছে না সেখানে চেষ্টা করতে পারি।’