ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিউ ইয়র্কে যখন চলছে রান খরার বিশ্বকাপ, সেন্ট লুসিয়ায় তখন টুর্নামেন্টের রেকর্ড ২১৮ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে আফগানদের ১০৪ রানে উড়িয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ২১৯ রানের লক্ষ্যে ১৬.২ ওভারে মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত রান আউটে কাটা পড়েন নিকোলাস পুরান। তিনি ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ৯৮ রানের ইনিংস খেলে উইন্ডিজের জয়ের নায়ক। এদিন তিনি দেশের হয়ে ছক্কার রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান সাবেক তারকা ক্রিস গেইলকে।
এই জয় দিয়ে ৪ ম্যাচের সবকটিতে জয়ে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার এইটে উঠল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ জিতে আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। ২ জয়ে তিনে থেকে আসর শেষ করে নিউজিল্যান্ড। গ্রুপের বাকি দুই দল যথাক্রমে উগান্ডা ও পাপুয়া নিউ গিনি।
আজকের ম্যাচ আফগান-উইন্ডিজ দুই দলের জন্যই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইটা ছিল। যে লড়াইয়ে শুরুতেই অনেকটা ছিটকে যায় আফগানরা। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের এক ওভারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির যৌথ সর্বোচ্চ ৩৬ রানের কল্যাণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ ৯২ রানের রেকর্ড গড়ে উইন্ডিজ।
দলীয় ২০০ ছাড়ানো ইনিংসে কার্যকর অবদান রাখেন জনসন চার্লস (৪৩), শাই হোপ (২৫) ও রভমন পাওয়েল (২৬)। তবে পুরানের ইনিংসের কল্যাণেই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে দলটি।
এদিন রেকর্ড ইনিংসের পথে দেশের হয়ে ক্রিস গেইলের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড (১২৪টি) নিজের করে নেন পুরান। গেইলের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসিবে নম্বইয়ের ঘরে রান আউট হলেন পুরান।
কঠিন রান তাড়ায় আকিল হোসেনের প্রথম ওভারেই ইব্রাহিম জাদরানকে হারায় আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লে পার হওয়ার শুরুতেই হারায় গুলবাদিন নাইবকে। সেই ধসের শুরু। দুই ওভারের ব্যবধানে ১ উইকেটে ৪৫ থেকে ৫৯ রানে পৌঁছাতে ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।
তিন ওভারের স্পেলে ওবেড ম্যাককয় তুলে নেন ১৪ রানে ৩ উইকেট। দুই স্পিনার গুডাকেশ মোটি ও আকিলও বল হাতে ছিলেন দারুণ। বাকি পেসারদের সহায়তায় দাপট দেখানো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্যারিবীয়রা।