টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় পেয়েছি দলটি। বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারে উগান্ডা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে দিনটা করে তুলল অবিস্মরণীয়। স্বল্প রানের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা। এটিই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় উগান্ডার।
চলতি বিশ্বকাপ আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বৃহস্পতিবার গায়ানায় মুখোমুখি হয় পাপুয়ানিউগিনি ও উগান্ডা। উগান্ডার বোলাররা দারুণ বোলিং করে। এতে ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় পিএনজি। জবাবে ১৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় আফ্রিকা দেশ উগান্ডা।
এদিন পাপুয়ানিউগিনি আর উগান্ডা, উভয় দলের সামনেই সমান সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেওয়ার। যেখানে সমানে সমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেনি পিএনজি। তাদের বিশ্বমঞ্চে জয়ের স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষা বেড়েছে।
উগান্ডার এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফ্র্যাঙ্কো সুবুগা। ৪৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে এসে আগেই করেছিলেন ইতিহাস। এবার বল হাতেও দেখালেন জাদু, ৪ ওভার বল করে ২ মেইডেনসহ ২ উইকেট নেন তিনি, যেখানে রান দেন মাত্র ৪! টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সবচেয়ে কম রান হজমের রেকর্ড।
শুধু সুবুগা নয়, এদিন উজ্জ্বল ছিলেন উগান্ডার অন্যান্য বোলাররাও। সুবুগা ছাড়াও দুটো করে উইকেট নিয়েছেন রামজানি, কেউটা, মিয়াগি। দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র তিন ব্যাটার। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ রান করেন হিরি হিরি। তাছাড়া সিয়াকা ও ডোরিগা দুজনই করেছেন ১২ রান।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উগান্ডাও বিপদে পড়ে। স্কোরবোর্ডে ৬ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। একটা সময় মনে হচ্ছিলো হয়তো পেরে উঠবে না তারা। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যেন চোখে সর্ষেফুল ভেসে উঠে।
তবে জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন রিয়াজত আলী শাহ। উগান্ডার হয়ে তিনি একাই করেছেন ৩৩ রান। যেখানে দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন আর কেবল জুমা মিয়াজি, ১৩। বাকিরা কেউ দাঁড়াতেই পারেনি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান আসে অতিরিক্ত থেকে।
সব মিলিয়ে ছোট ছোট জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফ্রিকান দলটি। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে জয় পায় উগান্ডা। পিএনজির হয়ে ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন আলেই নাও। নরম্যান ভানুয়া ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।