তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে সামান্য ব্যাবধানে জয়ের পর পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিও জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে শেষ ম্যাচে বড় জয় পেয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে সফরকারীরা। আগের দুই ম্যাচের কষ্টসাধ্য জয় টাইগারদের দুর্বলতার যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, আজকের বড় পরাজয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল।
৪-১ ব্যবধানে জয় পেলেও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পরিবর্তে বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের সামনে বেশ কয়েকটি চিন্তার উদ্রেক করল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হওয়া এই সিরিজ।
বিশ্বকাপের সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পঞ্চম ম্যাচটি সকালে আয়োজন করে বিসিবি। এটি ছিল টাইগারদের ঘরের মাটিতে সকালে শুরু হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে ভালো ওপেনিং জুটি দাঁড় করাতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
১৫ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং ধসের শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। এ সময় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৬৯ রানের জুটি বিপদ বাঁচিয়ে দলকে দেড় শতাধিক স্কোরের দিকে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখে।
মাহমুদুল্লার ইনিংস-সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৫৪ রান এবং শান্তর ২৮ বলে ৩৬ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে জাকের আলীর ২৪ ও সাকিবের ২১ রানের ইনিংসগুলোও কার্যকর ভূমিকা রাখে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্লেসিজ মুজারাবানি ও ব্রায়ান বেনেট ২টি করে উইকেট নেন।
গত দুই ম্যাচ অল্পের জন্য হাতছাড়া হলেও শেষ ম্যাচে দৃঢ়তা দেখায় জিম্বাবুয়ে। ২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার অপরাজিত ৭২ ও বেনেটের ৭০ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।
এদিন ব্যাট হাতে বাংলাদেশি বোলারদের তেমন কোনো সুযোগই দেয়নি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। এর মধ্যে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে তুলোধুনা করে তারা। ৪ ওভারে একাই ৫৫ রান দেন সাইফুদ্দিন। তবে এ দিন সাকিব ছিলেন যথেষ্ট কৃপণ। নিজের ৪ ওভারের স্পেলে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন তিনি।