জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটি চিত্র।
একশ’র আগে ৮ উইকেট নিয়ে বড় জয়েরেই স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই স্বপ্নে হঠাৎই যেন কাঁপুনি ধরিয়ে দেন ওয়েলিংটন মাসাকদজা-ফারাজ আকরাম। খেলা নিয়ে যান শেষ ওভার পর্যন্ত। ৬ বলে যখন ২১ রান প্রয়োজন, তখন সাইফউদ্দিন এসে প্রথম বলে মাসাকাদজাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান। শেষ পর্যন্ত তার ওভার থেকে ১১ রানের বেশি নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৯ রানের জয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ। এতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০তে সিরিজও নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ মে, ২০২৪) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করে। তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
নবম উইকেটে ৩০ বলে ৫৪ রানের জুটিতে স্বাগতিক শিবিরে ভয় ধরিয়ে দেন মাসাকাদজা-ফারাজ। ১৩ রানে মাসাকাদজার আউটে ভাঙে জুটি। ফারাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩৪ রানে। তার সঙ্গে ব্লেসিং মুজরাবনি ৪ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ৯১ রানে পতন ঘটে ৮ উইকেটের। এরপরই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন দুজনে। তবে দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি। মাঝে ১০ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জনাথন ক্যাম্পবেল। ওপেনিংয়ে নেমে ২৬ বলে ৩১ রান করেন মারুমানি। এ ছাড়া বিশের বেশি কেউ করতে পারেনি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে তিনি ৪২ রান দেন। ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
এর আগে টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন তাওহীদ। ৩৮ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে এই রান করেন তিনি। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এ ছাড়া জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ৩৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজান জাকের। -৬০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর দুজনে পাল্টা আক্রমণ করেন। জুটি থেকে আসে ৫৮ বলে ৮৭ রান।
একই ওভারে দুজন ফেরার পর ইনিংস শেষ করে আসেন মাহমুদউল্লাহ-রিশাদ। মাহমুদউল্লাহ ৪ বলে ৯ ও রিশাদ সমান বলে ৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটার ব্যর্থ হয়েছেন। থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি লিটন দাস-তানজীদ হাসান। টানা তিন বলে স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন লিটন। তৃতীয়বারের চেষ্টায় হন বোল্ড। তিনি ১৫ বলে ১২ রান করেন। তার পর ক্রিজে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ৬ রানে।
অন্য প্রান্তে তানজীদ খেলতে থাকলেও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ২২ বলে ২১ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তার আউটের পরই তাওহীদ-জাকেরের আক্রমণে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুজরাবানি। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দেন তিনি। এ ছাড়া ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা নেন ১টি করে উইকেট।