Logo
Logo
×

সবিশেষ

বাংলাদেশে স্টারলিংকসহ স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের দরজা খুলছে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

বাংলাদেশে স্টারলিংকসহ স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের দরজা খুলছে

স্টারলিংক ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। অবশেষে বাংলাদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার পথ খুলছে ইলন মাস্কের স্টারলিংকসহ এমন ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বিটিআরসি ও বিডাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করার এক সপ্তাহ পর তাদের জন্য বাংলাদেশে আসার পথ খুলছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যে খসড়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে তাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্সের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সেবা প্রদানকারীদের জন্য প্রণীত খসড়া রেগুলেটরি ও লাইসেন্সিং গাইডলাইনস' শিরোনামে এই নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে।

ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এনজিএসও স্যাটেলাইট সিস্টেম ও পরিষেবা নির্মাণ, মালিকানা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ১০০ শতাংশ বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই), বিদেশি অংশীদারিত্ব, যৌথ উদ্যোগ বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থাটিকে সরকারের এফডিআই নীতি অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও অন্যান্য সংস্থার সব নিয়ম, প্রবিধান ও নির্দেশাবলীও প্রযোজ্য হবে।

নির্দেশিকা অনুসারে, লাইসেন্সের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব এনজিএসও স্যাটেলাইট পরিষেবা দিতে পারবে সেগুলো হলো, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা, ইন্ট্রানেট পরিষেবা (দেশীয় ডেটা যোগাযোগ), ইন্টারনেট অব থিংস ও মেশিন-টু-মেশিন যোগাযোগ, গতি পরিষেবায় আর্থ স্টেশন, আর্থ এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট পরিষেবা, রিমোট সেন্সিং বা আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিষেবা ও বিটিআরসি অনুমোদিত অন্যান্য পরিষেবা। এসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি বাসায়, সম্প্রচারে, স্যাটেলাইট আইএমটিভিত্তিক পরিষেবা বা টেলিযোগাযোগ পরিষেবা দিতে পারবে না।

এই নিবন্ধন নিতে আবেদন বা প্রসেসিং ফি ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। সেইসঙ্গে অধিগ্রহণ ফি হবে ১০ হাজার ডলার ও বার্ষিক ফি হবে ৫০ হাজার ডলার। এছাড়া ২০ ডলার করে টার্মিনাল প্রতি বার্ষিক স্টেশন বা টার্মিনাল ফি দিতে হবে। বিটিআরসিকে ইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক নিরীক্ষিত মোট রাজস্বের সাড়ে পাঁচ শতাংশ দিতে হবে। মোট রাজস্বের আরও এক শতাংশ 'মহাকাশশিল্পের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা'র অংশ হিসেবে দিতে হবে।

অবশ্যই সেবা দেওয়া শুরুর আগে বাংলাদেশের মধ্যে অন্তত একটি গেটওয়ে সিস্টেম স্থাপন করতে হবে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে। তবে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই অতিরিক্ত গেটওয়ে স্থাপনে উৎসাহিত করেছে বিটিআরসি। 

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন