কোনো মহল যাতে অযাচিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার (২২ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশ ও জনগণের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অটুট রেখেই এই জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যের চর্চাকে অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যকে ধ্বংস বা ফাটল ধরায়—এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বোচ্চ মাত্রার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কোনো মহলের এজেন্ডা যাতে সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়ে যায়—সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বর্তমানে আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো—ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে প্রায় ১৬ বছর ধরে চলা ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, আমাদের সকল সংস্কার প্রচেষ্টা বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার উপর কেন্দ্রীভূত—এটাই জাতির প্রত্যাশা।  প্রায় ১৬ বছরের রক্তক্ষয়ী ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এদেশের জনগণ বৈষম্যহীন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'সেনাবাহিনী এর আগেও নির্বাচনে সহযোগিতা করেছে এবং এবারও —তা করবে এটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের অবশ্যই আস্থা আছে।’