রাষ্ট্রপতি পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছেন: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, "পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর যেমন ডিভোর্স লেটার লাগে না, ঠিক তেমনই পালিয়ে যাওয়া নেত্রীরও পদত্যাগ পত্রের প্রয়োজন হয় না। তিনি বলেন, শিক্ষা জীবনে ছাত্রলীগ করা রাষ্ট্রপতি পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছেন।
গতকাল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের কালো টাকা ও বেআইনি অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। তারা মহড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে রাজনীতি ছিল মাফিয়াতন্ত্র ও হরিলুটের আসর।
এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষ দু-মুঠো যাতে খেতে পারে এজন্য বাজার সিন্ডিকেট, মার্কেট সিন্ডিকেট যারা এতদিন ধরে করে রেখেছে তাদেরকে গ্রেফতার করুন। আমরা অল্প কিছু ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি, ব্যাপক ড্রাইভ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। গণতন্ত্র তো হলো শান্তির পথে মানুষ যাতে বসবাস করতে পারে এবং খোলা গলায় যাতে মানুষ সমালোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে এটাই তো গণতন্ত্র। আইনের শাসন থাকবে কে কোন দল করে সেটা বড় কথা নয়। যে অন্যায় করবে তাকেই পুলিশ ধরবে, এটাই গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন না, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন একটি উপাদান। সেখানেও একটি জটিলতা দেখছি। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করুন। যাতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন গুলাগুলি করেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন জন-অরণ্যের মধ্যে লুকিয়ে থেকে প্রয়োজন মতো বের হয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে। যে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি বারবার চাপ দিয়ে আসছে। যদি ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটে তাহলে এর দায় তাদের নিতে হবে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এত দিন পার হলেও বেআইনি কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, মানুষ না খেয়ে থাকে এমন যেন না হয়। মানুষ যাতে দু-মুঠো খেতে পারে এ জন্য বাজার সিন্ডিকেট ও মার্কেট সিন্ডিকেট এত দিন ধরে যারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা অল্প কিছু ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি কিন্তু ব্যাপক ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সংগঠনটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, শাহাদত হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, দলের কেন্দ্রীয় সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা জেলা বিএনপি’র সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর মোর্শেদ ইমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুর রহমান তুষার, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা হাসান, রনি, শারিফুল ইসলাম ও মশিউর রহমান মহান প্রমুখ।