হাসিনার প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে: তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা অবিস্মরণীয়। শহিদদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেতাত্মারা এখনও দেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এনায়েতপুর হাই স্কুল মাঠে ঐতিহাসিক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।
তারেক রহমান বলেন, ২৪ এর গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচার মুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরও অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে তখনই যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আন্দোলন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের কাছে আমরা ৩১ দফা দাবি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে সকল সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ, শুধু রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করলে চলবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, একইসঙ্গে এটার সুফল পেতে হলে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথ বাতলাতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারি, তাহলে সকল ক্ষেত্রে আমাদের মুক্তি হবে। দেশীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা দূর করা যাবে। এনায়েতপুর ও বেলকুচি অঞ্চলের তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।