বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে ভারতে পালিয়ে যেতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী সীমান্তে আত্মগোপন রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। আবার সীমান্তে নানক আটক হয়েছেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে তাকে আটকের বিষয়টি বিজিবি, পুলিশ কিংবা র‍্যাব কেউ নিশ্চিত করেনি। 

নানকের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, সীমান্তে কাউকে আটক করা হয়নি। তবে, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, বিজিবির কাছেও এ ধরনের গুঞ্জনের খবর রয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি। বিষয়টি জানার পরই সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শনিবার শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা বিএম সিরাজুল ইসলামকে যৌথবাহিনী আটক করে। এরপর অনেকের মুখে শোনা যায় শেখ হাসিনার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী জাহাঙ্গীর কবির নানক ভারত পালিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপন রয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে ছদ্মবেশে শ্রীমঙ্গলের চা বাগান এলাকায় অবস্থান করেন। সীমান্ত অতিক্রম করতে না পেরে জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা ও ফুলতলা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা চালিয়ে সফল হননি। এরপর থেকে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড়াইল, কুমারশাইল, পাল্লাথল ও দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। কিন্তু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, তিনিও এমন গুঞ্জন শুনছেন। তবে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। তিনি মনে করেন সীমান্ত এলাকায় বিজিবির চিরুনি অভিযান চালানো উচিত।   

এদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন বলে আজ সোমবার দুপুর থেকে লোক মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকেও এরকম খবর প্রচার হয়। তবে দুপুর থেকে ফুলতলা সীমান্তে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে খবরের কোনো সত্যতা পায়নি।