ভারত আমাদের ওপর আবারও রাজনৈতিক বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে: হেফাজত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
বন্যাকবলিত ফেনী ও নোয়াখালীতে সবাইকে জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে ফেনী ও নোয়াখালী বন্যায় ডুবে গেছে। পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় সেখানে নজিরবিহীন মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকসহ রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের হেলিকপ্টার ও শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত বোটসহ জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। দেশের আরও কয়েকটি অঞ্চলেও বন্যার তীব্র আশঙ্কা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি।
হেফাজত নেতারা আরও বলেন, ভারত আমাদের ওপর আবারও রাজনৈতিক বন্যা চাপিয়ে দিয়েছে। আমরা অবশ্যই ভারতের এই অনাচারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ। আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসারে উজানের দেশ কখনো অভিন্ন আন্তর্জাতিক নদীতে এমন কোনো বাঁধ দিতে পারে না যা ভাটির দেশের নদী ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কিন্তু ভারত এক্ষেত্রে আমাদের সাথে সবসময় আগ্রাসী আচরণ করেছে।
তারা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অভিন্ন নদীতে বাঁধ দিয়ে আমাদের নদীব্যবস্থা ও কৃষিব্যবস্থা দুটোরই ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। প্রয়োজনের সময় পানি দেয় না, কিন্তু প্রতি বছরই ভারী বর্ষায় নিজের স্বার্থে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে বন্যায় ভাসিয়ে মানবিক বিপর্যয় তৈরি করছে। এসব বাঁধ ও বন্যা সৃষ্টি ভারতের আন্তর্জাতিক অপরাধ। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হলে ভারতকে এসবের জবাব দিতে হবে।
তারা বলেন, বাঁধ না দিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে অভিন্ন নদীগুলোকে চলতে দিলে উভয় দেশই উপকৃত হতো। উভয় দিকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা কমে যেত। কিন্তু ভারত অন্যায্য বাঁধ বসিয়ে সব পানি একাই ভোগ করতে চায়। এটা প্রকৃতিবিরুদ্ধ অন্যায়। এসব বন্যা ভারতেরই সৃষ্টি। বন্যায় নিহত প্রতিটি লাশের চড়া মাশুল ভারতকে এবার দিতে হবে।
তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার মতো একটি পুতুল ফ্যাসিবাদী সরকারকে আমাদের ওপর চাপিয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের নামে ভারত এদেশে যেসব অনাচার করেছিল, আমরা তার কিছুই ভুলিনি। ভারত সেসবের দায় এড়াতে পারে না। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট দানবকে এদেশের তরুণ শক্তি উৎখাত করতে পেরেছে। তারুণ্যের এই শক্তির মর্ম ভারত যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাদের মঙ্গল।