মসজিদের খতিব ও ইমামদের আগামীকাল শুক্রবার  জুমার খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার ওপর আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়খ সাজেদুর রহমান এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, যার সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কোনো সম্প্রদায়ের জান-মালের ক্ষতি সাধন এমনকি ভয়-ভীতি প্রদর্শনও ইসলামে সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। 

তারা আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোনো অমুসলিম ব্যক্তির ওপর কোনো ধরনের জুলুম করে অথবা তার কোনো প্রাপ্য অধিকার পুরোপুরি প্রদান না করে, কিংবা তার সামর্থ্যরে বাইরে কোন বোঝা চাপিয়ে দেয় অথবা তার সম্মতি ব্যতীত (জবরদস্তি করে) তার নিকট থেকে কিছু গ্রহণ করে, আমি (মুহাম্মদ স.) কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে (আল্লাহর নিকট) অভিযোগ দায়ের করবো। (সুনানে আবু দাউদ)।

তারা বলেন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জানমাল ও ইজ্জত রক্ষা করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য অবশ্যকরণীয়। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজে প্রদত্ত ভাষণে মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সম্মান ততটা পবিত্র যতটা পবিত্র আজকের এই দিন, এই (জিলহজ) মাস ও এই (মক্কা) নগরী। (সহীহ বুখারি ও মুসলিম)।

তারা আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী সকল মসজিদে জুমার খুতবায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার উপর আলোচনা করার জন্য আমরা সম্মানিত খতিব ও ইমামগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। তাছাড়া নিয়মিত নামাযে আগত মুসল্লিদের ও জামায়াতের আগে বা পরে বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সচেতন করার আহ্বান জানাচ্ছি।