বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ
অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত পাঠাতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
সারাদেশে শত শত ছাত্র-জনতাকে খুন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের অপপ্রয়াসের পর সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে দাবি করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই আন্দোলনে কত সংখ্যক ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দাবি করেন।
তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অপরাধ ঢাকা যাবে না। আন্দোলনের সময় পুড়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া সকল সম্পদ জনগণের, তা জনগণের টাকায় কেনা, সেই জনগণের বুকে গুলি চালিয়ে পুড়ে যাওয়া সম্পদের ছবি দেখিয়ে কারও সহানুভূতি কি সরকার পেতে পারে?
নেতারা এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও এলডিপি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিমের বাসায় পুলিশি তল্লাশি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা সাভারসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকারি দলের গুন্ডাদের ছাত্র জনতার বাস ভবনে হামলা, ভাঙচুর, তুলে নেয়া বন্ধ করার দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দাবি করেন,
১। নিরাপত্তা দেবার অজুহাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের জোর করে তুলে নেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তাদের অনতিবিলম্বে ছেড়ে দিতে হবে।
২। ছাত্র-জনতা ও বিরোধীদলের নেতা-কর্মীসহ সকলের উপর হওয়া হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। গ্রেপ্তারকৃত ও গুমকৃতদের মুক্তি দিতে হবে এবং সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৩। অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা মেনে নিতে হবে।
৪। কারফিউ প্রত্যাহার ও পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করতে হবে।
৫। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি, হত্যার পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও বাস্তাবায়কারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৬। সকল হত্যার দায় স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে হবে।
গণহত্যাকারী সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণঅধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান প্রমুখ।