কোটার দাবি এখন সরকার পতনের দাবিতে রূপ নিয়েছে
ঢাকার রাজপথ রক্তাক্ত, পুলিশের গুলি, নির্যাতন
বিশ্বের সব বড় শহরে বিক্ষোভ
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও পুলিশের গুলিতে গতকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতা-স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী নিহত হবার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশী বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে সমস্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেশকে বাইরের বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। গতকাল রাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় অনেকে নিহত ও আহত হবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোবাইল নেটওয়ার্কে ইচ্ছাকৃত বিঘ্ন ঘটিয়ে এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবার কারণে গতকাল রাতে চালানো হামলায় ঠিক কতজন নিহত ও আহত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আজ ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বাড্ডায় নতুন করে আবার সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ নির্বিচারে গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ডের কারণে দেশজুড়ে ক্ষোভ কোটা আন্দোলনকে নতুন রূপ দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও জনপরিসরে শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হিসেবে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন শুরু হয়েছে। কার্টুন, পোস্টার, মিম ও ফেসবুক-টুইটার স্ট্যাটাসে শেখ হাসিনাকে হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করে প্রকাশ্য প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
এদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিকেল ৩ টায় প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে।
শিশু-কিশোর হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বের প্রায় সব বড় শহরে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পাওয়া গেছে। লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে গতকাল প্রায় এক হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে কোটা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। জার্মানীর ফ্রাঙ্কফুর্ট, বার্লিন, ডুসেলডর্ফ ও এসেন, ডেনমার্কের কোপেনহাগেন, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্ন সহ নানা শহরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা গতকাল ও আজ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে।