Logo
Logo
×

রাজনীতি

গায়েবানা জানাজা

বিএনপি ও সমমনা দলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক বেশ কয়েকজন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম

বিএনপি ও সমমনা দলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক বেশ কয়েকজন

বায়তুল মোকাররম মসজিদে আজ বুধবার বাদ জোহর গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা একত্রিতভাবে মিছিলসহকারে বের হলে বাধা দেয় পুলিশ। উত্তর গেট দিয়ে বেরোনোর সময়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড মারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দৌড়ে গলি থেকে পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল ছুড়ে। 

প্রায় ২০ মিনিট এরকম পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক চলতে থাকে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত সড়কে প্রচুর ইট-পাকেট পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটকসহ কঠোর অবস্থানের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা নামাজ আদায় করে বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীরা। যোহরের নামাজ শেষে মূল মসজিদের উত্তর দিকের বারান্দায় গায়েবানা জানাজা হয়।

জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করা বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, বারোটার পরপর গায়েবানা জানাজা নামাজকে কেন্দ্র করে পুলিশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে রণসাজে সজ্জিত হয়ে কঠোর অবস্থান নেয়। এই অবস্থায় সিনিয়র নেতা ছাড়া যারাই প্রবেশ করতে গেছেন, তাদের অনেককেই আটক করা হয়েছে। 

মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল আরও বলেন, পরে কৌশলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রবেশ করে তিনসহ অনেক নেতা-কর্মী। সাড়ে বারোটা থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের আটক করতে থাকে। এই অবস্থায় বিকল্প অন্য একটি পথ দিয়ে কিছু নেতা-কর্মী প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। বাদ যোহর মসজিদের ভেতরেই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আহমেদ আজম খান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শরীফুল আলম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, ডা. রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, টকশো ব্যক্তিত্ব ডা. শাখাওয়াত হোসেন শায়ন্ত, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার আসাদুর রহমানসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। 

তবে, গ্রেপ্তার এবং পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে বিএনপির ও সমমনা দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে বায়তুল মোকাররমে প্রবেশ করতে না পেরে অলিগলিতে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক, রফিকুল ইসলাম বাবলু, জোনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শামসুল আলম প্রমুখ।

জানাজা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সরকার নিজেরা সমাধান করতে পারতো। কিন্তু পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে কর্মসূচি দিবো।

বিএনপি নেতারা বলেন, জানাজা নামাজ শেষে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পল্টন মোড়ে আসামাত্র পুলিশ পেছন দিক থেকে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হন। এ সময়ে পুলিশ উত্তর গেট পুরোটা খুলে না দিলে মুসল্লিরা পুরো গেট খুলে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে সামনে এগোতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নেয়। 

বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে এসে ডা. টকশো ব্যক্তিত্ব সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, বিএনপির মহানগর নেতা মাহবুবূর রহমান, আমির হোসেন, নোয়াব আলী, মাসুমসহ বেশ কয়েকজন আটক পুলিশ নিয়ে গেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আটক বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে বিএনপি।

Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন